বিশেষ প্রতিনিধি:-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮-২ ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি আগামী ৫ বছর যাবত সংস্থাটির দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা টুইটে বলা হয়েছে, ‘মিসেস সায়মা ওয়াজেদ ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সদস্য দেশগুলো বুধবার একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দিয়েছে।’ ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর অংশ নেয়। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গোপন ব্যালটে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়। একটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।সায়মা ওয়াজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা নেপালের শম্ভু প্রসাদ আচার্য। ভারতের পুনম ক্ষেত্রপাল সিং ২০১৪ সাল থেকে এই পদে বহাল আছেন।
অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ব্যক্তিত্ব এর আগেও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের পুণম ক্ষেত্রপাল। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলই হবেন প্রথম বাংলাদেশি যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হলেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান পদে নির্বাচিত হননি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মোট ১১টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করে। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সদস্যপদ স্থগিত রয়েছে।
এর আগে সরকার সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন দেয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের এই বিজয় বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিত্বরা