ত্বক ভীষণ সংবেদনশীল। আর তাই ত্বকে কোনো কিছু ব্যবহারের আগে তার সম্বন্ধে অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।যেমন ফাউন্ডেশন এবং মাসকারার মতো মেকআপ যেগুলো নারীরা ব্যবহার করেন, সেগুলো নিরাপদই মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যার মধ্যে স্তন ক্যান্সার, ইনফেকশন, ব্রণ ও বন্ধ্যত্বের মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
প্রথমত মেকআপে ‘প্যারাবেন’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়া যায়৷ দ্বিতীয়ত ‘ফালেটস’-এর উপস্থিতি অসংখ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
প্যারাবেন যা মাসকারা এবং মেকআপে পাওয়া যায়। ভেতরে ব্যাক্টিরিয়ার বেড়ে ওঠা আটকাতে, এটি নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ভূমিকা রাখে।
প্যারাবেন ছাড়াও ডিইপি (ডাইথেল ফালেটস) বন্ধ্যত্ব সৃষ্টিতে জড়িত এবং এটি গর্ভবতীকালীন সময়ে শিশুর বেড়ে ওঠায় প্রভাব ফেলে। ফলে আমরা মেকআপ সাবধানতার সঙ্গে এবং কম ব্যবহারের জন্য বলি৷
তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমাদের মেকাপ পরিবর্তন করা জরুরি, যেটি কঠিন। তাই আমার উপদেশ সঠিক মেকআপ বাঁছাইয়ে ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করে নিন।
অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করলে কী হয়?
মেকআপে কেমিক্যাল থাকে। কিছুতে কম এবং কিছুতে বেশি। মেকআপ নেওয়া সমস্যা নয়। অতিরিক্ত এবং লম্বা সময়ের (৫ ঘণ্টার বেশি) জন্য এবং প্রতিদিন মেকআপ নেওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যেমন- লোমকূপ, ব্রণ, লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অনুজ্জ্বল ত্বকের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
মেকআপ কি ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয়?
হ্যাঁ, মেকআপের কারণে আমাদের বয়স্ক দেখা যেতে পারে। এর কারণে অকাল বার্ধক্য ঘটতে পারে। অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহারের কারণে ত্বকের গুণও হারিয়ে যেতে পারে। ত্বক শুষ্ক, সংবেদনশীল এবং লাবণ্যহীন দেখা যায়। এ কারণে ত্বকের ধরন অনুযায়ী মেকআপ বাছাইয়ে সব সময় একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
তাই স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যারাবেনবিহীন এবং গ্লুটেনবিহীন প্রসাধনী অপরিহার্য। কারণ উজ্জ্বল ত্বক বলতে কিছু না, গ্লাস ত্বকই (মসৃণ, কোমল ও দাগহীন) আসল।
লেখক: স্কিন স্পেশালিস্ট, বিউটি অ্যান্ড সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার।