দর্শনা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বারাদী সীমন্তে বিজিবি ও বিএসএ’র মধ্যে শনিবার বিকালে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ সীমানার ৮১/৮২ নং মেইন পিলার বরাবর এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠক শেষে রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটের সময় বিএসএফ’র গুলি নিহত বাংলাদেশী দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের শরিয়ত উল্লাহ ছেলে সাজেদুর রহমান ওরফে সাজ্জুল (৩৫) ও একই গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মইনুদ্দীনদের (৪২) লাশ বিজিবির নিকট বিএসএফ ফেরত দেয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) মোঃ হায়দার আলী, বারদী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মোঃ খালেকুজ্জামান সহবিজিবি ২৫–৩০ জন বিজিবি জোয়ান, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোঃ মহিবুল্লাহ ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা ও এসআই সোহেল রানা।
অন্যদিকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, গোবিন্দপুর বিএসএফ এর কোম্পানী কমান্ডার দূগেশু নারায়র, বিএসএফের কাদিপুর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার এসপি সিং, গোবিন্দপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রাবিন মুর্খাজী, কৃষ্ণনগর থানার এসআই প্রকাশ শিকদার।
উল্লেখ্য গত ১৬ ডিসেম্বর দর্শনা বারাদি সীমান্তের ৮১/৮২ নং সীমান্ত প্রধান পিলারের নিকট দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার সময় দুই বাংলাদেশীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে।
এরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের শরিয়ত উল্লাহ ছেলে সাজেদুর রহমান ওরফে সাজ্জুল (৩৫) ও একই গ্রামের হয়দার আলীর ছেলে খাজা মইনুদ্দীন (৪২) ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়।
দীর্ঘ ১৪দিন পর গতকাল শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে লাশ দুটি ফেরত দেয় বিএসএফ। এসময় লাশ দুটি তাদের বাড়িতে পৌছাঁলে স্বজনদের আজহারিতে চারিদিকের বাতাস ভারী হয়ে আসে। সীমান্তে শত শত নারী পুরুষ, বিজিবি ও পুলিশ উপস্থিতি দেখা যায়।