জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মৃগমারী গ্রামে জামাইকে শ্বশুর বাড়ীতে পেয়ে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন রাতের বেলা বাড়ীতে আটকিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শনিবার রাতে সংঘটিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী জামাইয়ের পরিবার ঘটনার কথা জানতে পেরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় জামাইকে উদ্ধার করেন। ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্র জানায়,চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাপিত খালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে হাসিবুল ইসলামের(২৫) সাথে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের মৃগমারী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে হাবিবা খাতুনের(২২) গত ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তানহা(৬) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
হাসিবুল ইসলাম বলেন,আমাদের বিয়ের তিন বছরের মাথায় দাম্পত্য জীবনে বনাবনি না হওয়ায় স্ত্রী হাবিবার সাথে দাম্পত্য জীবনে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। পরে একমাত্র কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে এক বছর আগে হাবিবাকে আবার বিয়ে করি। আমার সাথে সংসার করার এক পর্যায়ে হাবিবা খাতুন আবারও আমার সাথে খারাপ আচরন করতে থাকে।
এ অবস্থায় গত ২৫ নভেম্বর বিকালের দিকে আমার পরিবারের কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে তার পিতার বাড়ী মৃগমারী গ্রামে চলে আসে। ইতিপুর্বে আমার বাড়ী থেকে হাবিবা আড়াই লাখ টাকা নিয়ে তার বাবা-মায়ের বাড়ী চলে যায়।
আমার স্ত্রী সন্তান মৃগমারী গ্রামে আমার শ্বশুর বাড়ীতে থাকা অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে যাই। সেখানে অবস্থান করা কালে রাত ১০ টার দিকে আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পনা করে আমার সাথে খারাপ আচরনের
এক পর্যায়ে আমার শ্বশুর আলাউদ্দিন,শ্যালক ইদ্রিস ও আশরাফুল,স্ত্রী হাবিবা,উথলী গ্রামের আহাদ ও খোকন মিয়া একজোট হয়ে আমাকে মারপিট করতে থাকে এবং বলে তোর বাড়ী থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে আসতে বল। তারা টাকা নিয়ে আসলে তোর থেকে হাবিবাকে তালাক নিয়ে তোকে ছেড়ে দেয়া হবে।
তারা আমার মোবাইল ফোনে প্রথমে ছিনিয়ে নেয়। আহাদ আমাকে ঘরের ভিতরে চেয়ার দিয়ে মারতে থাকে। চেয়ার ভেঙ্গে যাওয়ার পর সে আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
তারা আমাকে মোবাইল ফোনে একবার কথা বলার সুযোগ দিলে আমি ঘটনার কথা আমার পরিবারকে জানালে তারা ৯৯৯ এ ফোন করে জীবননগর থানা পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার করেন। আমি পরে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ভুক্তভোগী হাসিবুল ইসলামকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট দেয়া হয়। পরবর্তীতে ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।