জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর আবাসন প্রকল্পের একটি বসত ঘরের টিন,দরজা,জানালা খুলে বিক্রির অভিযোগে চোরকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার আবাসন প্রকল্পের বসতিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি রোববার রাতে সংঘটিত হয়েছে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার উজ্জল হোসেন বলেন, রোববার রাতে মনোহরপুর আবাসনে চোর চক্রের সদস্যরা হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি ঘরের জানালা চুরি করে নিয়ে যায়।এ সংবাদে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয় ।
এক পর্যায়ে আবাসনের ভাংড়ী ব্যবসায়ী নাজমুলকে ধরলে সে চুরি হওয়া ৮টি জানালা উদ্ধার করে দেয় এবং এর সাথে জড়িত মনোহরপুর গ্রামের ,পিন্টু,রিন্টু,শিমুল,শহীদ,ইকবাল ও লিয়াকতের নাম প্রকাশ করেন।উদ্ধারকৃত জানালাগুলো চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মনোহরপুর আবাসনের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন,আবাসনে মনোহরপুর গ্রামের কিছু ক্ষমতাধর ব্যাক্তি রাতের বেলা ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় ঘরের জানালা খুলে নিয়ে যায়, এমন কি ঘরের টিন
পর্যন্ত তারা খুলে নিয়ে বিক্রি করছে । আমরা কিছু বলতে গেলেই তারা আমাদের জবাই করে দেয়ার হুমকি প্রদান দেয়।যার ফলে তাদের ভয়ে আমরা কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাই না।
সরেজমিনে দেখা গেছে মনোহরপুর আবাসনে যে সমস্ত পরিত্যক্ত ঘর আছে, তার বেশির ভাগ ঘরের টিন একটি চক্র খুলে নিয়ে গেছে। এমনকি আবাসনের মানুষের ব্যবহৃত টয়লেটের দরজা পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও ওই আবাসনে প্রতিদিন গাজা,ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক সেবীদের আকড়া বসে থাকে বলে জানান এলাকার সচেতন মানুষ।
মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি আবাসনে চুরি হওয়া জানালা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তিনি বলেন যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,মনোহরপুর আবাসনের ঘরের জানালা চুরি হয়েছিল এটা শুনেছিলাম এবং সেগুলো উদ্ধার হওয়ায় তেমন কোন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।