চুয়াডাঙ্গার দুই আসন থেকে জাপার দুই প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা

গঞ্জের খবর ডেস্ক:-

চুয়াডাঙ্গায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের মাঠ থেকেসরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির দুই  প্রার্থী। তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতা, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ, নির্বাচনী পরিবেশ না থাকার কথা জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জাপার মনোনীত দুই প্রার্থী বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নির্বাচনি সমঝোতার অংশ হিসেবে জাপাকে ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির নেতারা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সারাদেশে মোট ২৮৩টি আসনে লড়াই করছেন- এমনটি জানিয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ।

গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা দলের নেতৃত্বের ওপর দোষ চাপিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বুধবার রংপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “মিডিয়ার সামনে আমাদের দোষ দিয়ে যারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন তা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করছেন। যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন, তারা নিজেদের স্বার্থে সরে যাচ্ছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ অবস্থার মধ্যেই চুয়াডাঙ্গার দুটি আসন থেকে জাপা প্রার্থীরা সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন।

আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী জেলা জাপার সভাপতি সোহরাব হোসেন।

দামুড়হুদা, জীবননগর এবং সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম।

তারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় প্রচারও বন্ধ করেছেন। অন্য প্রার্থীদের ব্যাপক টাকা খরচের প্রতিবাদে এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, “অন্য প্রার্থীদের খরচের কাছে টিকে থাকা সম্ভব নয় এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে আমি প্রচারণা বন্ধ করেছি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতাদের কোনো সহযোগিতা আমরা কখনও পাইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *