জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী ইয়াসিন আলী(৩০) নিখোঁজ হওয়ার তিন দিনের মাথায় অবশেষে রোববার ভোরের দিকে উদ্ধার হয়েছে।
তাকে বাড়ীর পাশে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় আছেন।
দপ্তরী ইয়াসিন আলী শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর নিজ বাড়ি হতে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তিনি। গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রাখাল ভোগা গ্রামের মাঠের মধ্যে নিখোঁজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে মহেশপুর থানা পুলিশ।
নিখোঁজ ইয়াছিন আলী জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের খাল পড়ার মো.হানেফ আলী’র ছেলে। সে হরিহরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী হিসাবে চাকরি করেন।
নিখোঁজ ইয়াছিন আলী মা বলেন, আজ (রোববার) ভোর চারটার দিকে ইয়াছিন একবার মা বলে আমাকে ডাক দেন। তারপর আমরা তাড়াহুড়ো করে বাইরে বের হয়ে দেখি ইয়াছিন দরজার গোড়ায়। তাকে ধরাধরি করে বাড়ির মধ্যে নিয়ে আছি। সেই থেকে সে অচেতন, আর কোন কথাবার্তা বলছে না। সকালে হাসপাতালে ভর্তি করায় এখনও সে কোন কথা বলছে না। সে একা বাড়ি ফিরিনি তবে কে বা কারা রেখে গিয়েছি আমরা দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার বিকালে ইয়াছিন তার দু মাস বয়সী ছেলেকে দেখতে শ্বশুর বাড়ি যাওয়া কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর রাতে যখন সেখানে না পৌছালে তখন তারা আমাদের জানান। তারপর থেকে ইয়াছিনের মোবাইলে অনেক বার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।রাতে আমরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাখুজি করি। কোথাও তার খোঁজ না পাওয়া যায় না। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ইয়াছিনের মোটরসাইকেলটি রাখাল ভোগা মাঠের মধ্যে পায়।
এদিকে তার রহস্যজনক নিখোঁজ,মোটর সাইকেল সম্পর্কে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ প্রেরণ এবং সর্বশেষ ঘটনার তিনদিনের মাথায় বাড়ীর পাশে অবচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার ঘটনা এলাকাবাসির নিকট এক রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো.ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে ইয়াছিন আলীকে আনা হয়। প্রথমে তিনার দেখে মনে হয়েছিলো ঘুম ঘুম ভাব। তার পার্লস, ব্লাডপ্রেশার সব কিছু নরমাল পেয়েছি। এখন পর্যন্ত তিনি কথা বলেনি। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য ভর্তি করে রেখেছি। এখন সব কিছুই স্বাভাবিক আছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এম জাবীদ হাসান বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সকালে সাধারণ ডাইরিটা থানা হতে প্রত্যহার করে নিয়েছে। তিনি ঢাকায় গিয়েছিলো বলে তার পরিবারে সদস্যরা আমাদেরকে জানিয়েছেন। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা ইয়াসিন আলী সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। তবে তিনি আদৌও ঢাকায় গিয়েছিলো কি না কিংবা অন্য কোন ঘটনা চাপা দিচ্ছে কি না তা আমরা জানার চেষ্টা করছি