জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভুল চিকিৎসা দেয়ায় একটি গাভী ও ওকটি এড়ে গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের আহাজারিতে আশেপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে আসে।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নারাণয়পুর পশ্চিম পাড়ার মো.ইদ্রিস আলী’র বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার নারায়ণ পুর গ্রামের হতদরিদ্র ইদ্রিস আলী গত ১৪ বছর ধরে বিছানাগত ও তার স্ত্রী মোছা. আকলিমা বেগমের একটি গাভী ও একটি এড়ে গরু দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করেন। গাভীর দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার,চিকিৎসা ও ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছেলের লেখাপড়ার খরচ বহন করে কোন রকম টেনেটুনে চলতো। গত দু’তিন দিন আগে গরু দুটো অসুস্থ হলে পল্লী পশু চিকিৎসক ফরিদ সোমবার (১৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৪/৫ টি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে কিছু ওষুধ লিখে তিনি চলে যান। রাত পার হলে সকালে গরু দু’টো কাপতে থাকে তখন চিকিৎসকে আবারও ফোন দিলে তিনি তখন কোন না খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তী দুপুরের দিকে গরু দুটি মাটিতে পড়ে যায় এবং মারা যায়। এতে দরিদ্র গাভী মালিকের স্ত্রীর আহাজারিতে বাড়ির আশপাশ এলাকা ভারী হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আকলিমা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই গরু দুটো কাপতে থাকে যত সময় পার হচ্ছিল তত কাপনি ধরে আমার সম্বল গরু গুলো পরে মরে গেল। আমার গরুগুলোকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার গরু গুলোর মূল্য প্রায় সাড়ে তিনলাখ হবে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমাদের গরু ভুল চিকিৎসায়ই মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসক ফরিদ বলেন, আমি একজন পল্লী চিকিৎসক। গরু গুলো এঁচো হওয়ায় গত কাল(সোমবার) বিকালে কিছু ওষুধ ও তিনটা মত ইনজেকশন পুশ করি। এটি দেয়ার পর গরু স্বাভাবিক ছিল। আজ দুপুরের ওনার পাশের বাড়ি একজন ফোন দিয়ে জানান গরু গুলো মারা গিয়েছে। আমি যদি ভূল চিকিৎসায় দিবো তাহলে একদিন পর কেনো মারা যাবে। হয় তখনই বা এক ঘন্টার মধ্যেই মারা যেত। একদিন পর তো মারা যেত না।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা.তানভীর হাসান বলেন, এ বিষয়ে খোজখবর নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত করা হবে। তদন্তে ভূল চিকিৎসার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।