দর্শনা বারাদি বিলে ৪বিঘা জলকর লিজ নিয়ে বিপাকে খালিদ লিজের টাকা ফেরত না দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে গেছে আকরাম ও তার লোকজন

আওয়াল হোসেন দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা):-

 লিজের টাকা তো দিলোই না। অপরদিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমার ছাড়া দেশী মাছগুলো জোর পূর্বক ধরে নিয়ে গেলো তারা। কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বললেন দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর আল্লামা ইকবালের ছেলে আবু খালিদ মোঃ শমসের আলী।

গত বাংলা-১৪৩০ সালের  শ্রাবন মাসে বারাদি  বিলে ৩৩৭ দাগে ৪ বিঘা জলকর ৩ লাখ ৬ হাজার টাকায় জোর পূর্বক লিজ নেই বারাদি গ্রামের মাঝ পাড়ার মৃত মোজ্জাফর আলীর ছেলে আকরাম হোসেন (৬০)।

গত ৩০ শে শ্রাবণ-১৪৩০ সালে পৌষ এ জোরপূর্বক লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেড়ী বাধেঁর মাছ ধরে নেয়। এরপরও বৃহস্পতিবার আবু শমসের এর জলকরে বিশ প্রয়োগ করে এবং শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিস্কাশন করে প্রায় ২ লাখ টাকা মুল্যের দেশী মাছ জোরপূর্বক ধরে নেয়।

এমনকি এলাকার সকল মানুষ লেলিয়ে দিয়ে সমস্ত মাছ ধরে নেয়। জোরপূর্বের লিজের ২লাখ ৫০ হাজার ৬শত টাকা দেয়নি। বরং দেশী মাছগুলোও ধরে নিয়ে গেছে বারাদি গ্রামের মৃত মোজ্জাফর আলীর ছেলে আকরাম হোসেন (৬০) ও একই গ্রামের মোতায়েব আলীর ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪৫)।

বড়বলদিয়া গ্রামের ন্যাড়া মিয়ার ছেলে মামুম (৪২) ও সাড়াবাড়িয়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম। এমনি অভিযোগ করেছে আবু খালিদ মোঃ শমসের। এ বিষয় আবু খালিদ মোঃ শমসের আরো বলেন, এছাড়া আমার জমির সমস্ত কাগজপত্র থাকা স্বত্তেও কিছু প্রভাশালী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে আমার জলকর ও জমিতে ধান চাষ করে আসছে। তিনি আরো বলেন, থানায় অভিযোগ করেও ফলাফল পাইনি।

এ বিষয় আকরাম হোসেন বলেন, আমরা জমি লিজ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং দেড় মন খাওয়ার মাছ দিয়েছি। আমরা নিয়ম মাফিক লিজ নিয়েছি এবং লিজের চুক্তিনামায় গ্রামের ৩শত জনের স্বাক্ষর আছে। এ ক্ষেত্রে আবু খালিদ মোঃ শমসের বলেন, আমাকে শুধুমাত্র ৩০ কেজি তেলাপিয়া মাছ আর ৫০ হাজার টাকা দেয়। এছাড়া আর কিছুই পায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *