আসন্ন জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা

জীবননগর অফিস:-

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিনক্ষন এখনও ঘোষিত না হলেও সারাদেশের মত জীবননগর উপজেলায়ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এবার দলীয় মনোনয়ন চান গোলাম মর্তুজা। পাশাপাশি তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের পুর্ণ সমর্থণও আশা করেন।

তাকে নিয়ে নেতাকর্মিদের পাশাপাশি সমর্থকরাও স্বপ্ন দেখছেন তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হবেন এবং বিজয়ী হবেন।

তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে অপর স্বতন্ত্রী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

গোলাম মর্তুজা একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি বৃহত্তম বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের টানা চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় কমিটির

দীর্ঘদিনের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন।

অন্যদিকে জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সর্বশেষ দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুলত: উপজেলা আওয়ামীলীগের ভীতকে শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করেন। গোলাম মর্তুজা একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে তৃর্ণমুল পর্যায়ে নেতাকর্মি ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তার ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।

আর সে কারণেই সাধারণ নেতাকর্মিদের বিশ্বাস তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলীয় কোন ভেদাভেদ ছাড়াই খুব সহজেই বিজয়ী করা সম্ভব হবে। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করেন।

গোলাম মর্তুজা বলেন,আমার জন্ম আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠতা পরিবারে। আমার রক্ত-মজ্জায় মুজিব আদর্শ ও আওয়ামীলীগের অনুপ্রেরণা। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে অনেকে অর্থনৈতিক ভাবে জিরো থেকে হিরো বনে গেছে। আর আমি বাপ-দাদার ১৫ বিঘা জমি বিক্রি করে প্রায় নি:স্ব হওয়ার পথে। আমি সরকারী দলের নেতা হওয়া সত্বেও দুই উচ্চ শিক্ষিত ছেলেকে চাকুরি দিতে পারিনি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি জীবনে কোন দুর্ণীতির সাথে আপস করেনি।

জীবননগর উপজেলায় আমার বাপ-দাদারা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত করেছেন,আর আমি আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেছি। তাই আমার বিশ্বাস এবার দলীয় মনোনয়ন নেত্রী(জননেত্রী শেখ হাসিনা) আমাকেই দিবেন এবং বিজয়ও সুনিশ্চিত করব।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *