জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর শহরের হাসপাতাল সড়কের আখ সেন্টার সংলগ্ন মা নার্সিং হোম এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়া হাফিজা খাতুনকে(৩৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় কথিত ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত হাফিজা মা নার্সিং হোমে দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে চাকুরি করে আসছিলেন।
হাফিজার প্রথম বিয়ের দুটি সন্তান রয়েছে। মা নার্সিং হোমে চাকরি করার সুবাদে তার পরিচয় হয় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বালিহুদা গ্রামের টাইলস মিস্তিরির কবির হোসেনের(৪০)। তারা গোপনে বিয়েও করে।
নিহত হাফিজা খাতুন (৩৫) সন্তোষপুর গ্রামের শমসের উদ্দীনের বড় মেয়ে। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি প্রতিদিনের মত উক্ত নার্সিং হোমের দোতলায় অবস্থান করছিলেন। নার্সিং হোমে ঘটনার সময় একটি মাত্র রোগী ছিলেন। যে,কারণে ক্লিনিকে কর্মরতদের উপস্থিতিও ছিল না বললেই চলে। এই সুযোগে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কবির ক্লিনিকের দোতলায় প্রবেশ করে এবং হাফিজাকে কেবিনে পেয়ে কথা কাটাকাটি করতে থাকে। এক ফাঁকে কবির তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হাফিজার গলায় পোঁচ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। এসময় হাফিজা রক্তাক্ত অবস্থায় দোতলা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নিচতলায় নেমে এসে পড়ে যায়।
এদিকে ক্লিনিকে অপর কর্মচারী তিনতলা থেকে দোতলায় গিয়ে দেখেন সিড়িতে রক্ত পড়ে এবং হাফিজা নেই। সে নিচতলায় নেমে দেখতে পায় হাফিজা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ অবস্থা দেখে আর্তচিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হাফিজার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ার কারণে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হ’য়ে মারা যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসকের দাবী শ্বাসনালী কেটে যাওয়ার কারনে প্রচুর রক্তক্ষরণে হাফিজার মৃত্যু হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন, ঘাতক কবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে । লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরন করা হবে। গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে জানানো হবে।