জীবননগর থানার দারগা রায়হানের মাদক বিরোধী পৃথক সাড়াসি অভিযানে ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ৩ কারবারি গ্রেফতার হলেও নতুনপাড়ার রাসেল-জহুরুলের ভোঁ-দৌড়

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার চৌকস ও মাদক ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক সাব-ইন্সপেক্টর এসএম রায়হান পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান পিপিএম সেবা’র দিক নির্দেশনায় এবং জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসানের নেতৃত্বে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী সাড়াসি অভিযান পরিচালনা করেন।

পৃথক অভিযান পরিচালনা কালে মাদক ৩ জন ব্যবসায়ীসহ ফেনসিডিল,ইয়াবা ও ৮০ বোতল ফেনসিডিল আটক করেন। এ সময় দু’জন মাদক কারবারি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এসব ঘটনায় জীবননগর থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

সাব-ইন্সপেক্টর এসএম রায়হান বলেন,বুধবার রাতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ জীবননগর থানাধীন সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া  গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে রাত ১১.৫০ মিনিটের সময় নতুনপাড়া মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার ওপর আমাদেরকে দেখা মাত্রই রাসেল হোসেন(২৭) ও জহুরুল ইসলাম(২৮) একটি বস্তা ফেলিয়া পালিয়ে যায়। আমরা তাদের ফেলে যাওয়ার বস্তা  হইতে ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৩৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করি। পলাতক মাদক ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন নতুনপাড়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে এবং জহুরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছেলে।

অন্যদিকে বুধবার দিনগত বৃহস্পতিবার রাত ১.৪৫ মিনিটের সময় নতুনপাড়া গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনারুল ইসলামের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আকরামুল ইসলামের(২৬) পাকা বিল্ডিংয়ের ছাঁদের ওপর খড়ের গাদার নিচে রাখা ২৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করি। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আকরামুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে একইদিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্ত ইউনিয়নের বন্দর মাঠের সামনে পাকা রাস্তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাস্তা  থেকে নতুনপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের শিমুল মিয়া(২৮) ও কাতব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেনদের(২৫) গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেহ তল্লাসী করে ২০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদেরকে হাতেনাতে মাদকের চালানসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকেও গ্রেফতার তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

প্রতিটি ঘটনায়  থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতারের ব্যাপারে এলাকাবাসীদের সহযোগীতা আমাদের কাম্য। মাদক আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করছে। তাই তাদেরকে প্রতিরোধ করতে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধও দরকার।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *