জীবনগর মানিকপুরের সজল এখন শিক্ষিত বেকার যুবকদের অনুকরণীয় ফল চাষি

আওয়াল হোসেন:-

ফল চাষ করে ভাগ্যের চাকা খুলে গেছে সজলের। দেশী ফলের পাশপাশি বিদেশী ফলের সমারোহ এখন সজলের ফল বাগান। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সজল ২০০৯ সালে বিঘা বল সুন্দরী কুল এবং পরে সাড়ে ৩বিঘা পেয়ারা বাগান সৃজনের মধ্যদিয়ে শুরু করে ফল চাষ সজল।

বর্তমানে সজলের বাগানে বিদেশী ফল রাম বুটান, এ্যাবুকাটু, অস্টোলিয়ার লাল কাঁঠাল, সৌদি খেজুর ড্রাগন এবং দেশী ফল কুল, জাম.গোলাপ জাম,পেয়ারা,মালটা,কমলা লেবু,পেঁপে,স্টোবেরী,সবেদা,দু’প্রজাতির আম,

পাঁচ প্রজাতির কুল, আংগুর, জামরুলসহ নানা প্রজাতির ফল চাষ করে তিনি এখন লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। এছাড়া তার বাগানে দেশী বিদেশী নয় শত প্রজাতির ফলের চারা রয়েছে বলে তিনি জানান।

বর্তমানে সজল তার নিজের ১৮ বিঘা জমি এবং ১০১৫ বছরের জন্য লিজের জমি নিয়ে মোট ১২০ বিঘা জমিতে ফলের চাষ করছেন।

আগামী চৈত্র মাসে আরো ২০ বিঘা লিজের জমিতে ২৭ রকমের ফলের চাষ করবে বলে জানান। তার বাগানে বর্তমানে নিয়মিত ৩২ জন শ্রমিক কাজ করে। যাদেরকে প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১৫১৬ হাজার টাকা।

এ ছাড়াও ১০ জন শ্রমিককে প্রতিদিন ৪০০ টাকা দিন হাজিরায় কাজ করান।

সজল একদিকে নিজে যেমন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অন্যদিকে ৪২ জন দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন।

সজল বলেন, যেখানে ১২১৫ লাখ টাকা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ অষ্টোলিয়া যেতে পাচ্ছেন না। সেখানে আমাকে অষ্টোলিয়ার কৃষি বিজ্ঞানী . সৌরব সজলকে ফল চাষের জন্য নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সজল তাকে না করে দেয়।

  এ পর্যন্ত সজলের বাগান পরিদর্শনে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সরকারের সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ, কৃষিবিদ মেহেদী মাসুদ আব্দুর রহিম, কৃষি বিষয়ক টিভি সাংবাদিক সায়ক আব্দুর রহমান,ফল গবেষক বাবুল চন্দ্র সাহা,লেবু বিজ্ঞানী রেজাউল করিম,সচিব পবন,উপসচিব আজাদ জাহান,পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি,ডিসি-এসপি।

এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় দলের দুইজন ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান মারশাফি বিন মর্তুজা আসবেন বলে জানিয়েছেন। বিদেশীদের মধ্যে আমেরিকার কৃষি বিজ্ঞানী .জন।

সজল দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান। সজল তার স্ত্রী সন্তান ছাড়াও পিতামাতা ও এক বোনকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন। সজলের স্বপ্ন তার বাগানের উৎপাদিত দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ফল দেশের চাহিদা পুরণের পাশপাশি বিদেশও রফতানি করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *