দর্শনা পরানপুর রিফুজি কলোনী সড়কের সরকারী জমি দখল করে তিন ভাইয়ের মার্কেট ও গোডাউন নির্মান সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি 

দর্শনা অফিস:-

দামুড়হুদা উপজেলার শিল্পনগরীদ র্শনা পরানপুর রিফুজি কলোনী সংলগ্ন সড়কের পাশে তিন ভাই মিলে সরকারী জায়গা দখল করে মার্কেট ও গোডাউন করে বহাল তবিয়েতে ব্যবসা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আবারও নতুন করে সরকারী ফাঁকা জমি সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘিরে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় কাউন্সিলর ও সাংবাদিকসহ এলাকার লোকজন তাদের বাঁধা প্রদান করে।

দখলকারী তিন ভাই হচ্ছে- দর্শনা পরানপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন মোশার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫০), ভুট্টা (৪০) ও রাকিব (৩৪) প্রকাশ্যে সাংবাদিক আওয়াল হোসেন কে মারপিট করতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। এ নিয়ে ঐ দখলবাজদের দ্বিতীয় দফায় সড়কের পাশের ওই জায়গাটি দখল করতে আসে ওই তিন ভাই।

দখলবাজ ওই তিন ভাই শুধু পরানপুর নয়, দর্শনা অংকুর আর্দশ বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে দীর্ঘদিন দখল করে কাঠের আড়ৎ এবং এক সময় মার্কেট ও করে। সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বাকু বলেন, মোছদ্দারুল মিয়ার জমির সামনে সড়কের জায়গা শরিফুল, ভুট্টা ও তার ভাইরা ৩০-৩৫ বছর ধরে দখল করে ছিলো।

মোছদ্দারুল মিয়া দর্শনা পৌরসভায় অভিযোগ করে। এসময় ওই তিন ভাইকে জমির কাগজ দেখাতে বললে তারা কিছু ফটোকপি ভুয়া কাগজ দেখায়। তবে মুল কোন দলিল সে সময় দেখাতে পারেনি।

এরপর দর্শনা পৌরসভা ভুমি কর্মকতার্র সহযোগিতায় তাদের উচ্ছেদ করে জমি উদ্ধার করে দেয়। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং করছে প্রকৃত মালিক পক্ষ। এছাড়া আল্লার দান হোটেল মালিক জহির উদ্দিন এর সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর দখল করা জমি ছেড়ে মার্কেট করছে। তবে ওখানে পরানপুর গ্রামের কুড়ন মন্ডলের ছেলে মহনের কিছু পরিমান জমি আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

সাংবাদিক হানিফ মন্ডল বলেন, ওই তিন ভাই নানীর বাড়ির ভিটা জমি ও মাঠের জমি নিয়ে মামলা চলছে। এছাড়া চাচতো দাদার ছেলেদের জমি পাবে বলে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, স্থানীয় লোকজন এখানে ময়লা আর্বজনা ফেলে। এছাড়া তিনি বলেন, এ জায়গাতো সরকারী। আর সরকারী জমি দখল করতে দেওয়া যাবে না।

সাংবাদিক অওয়াল হোসেনকে গালিগালাজ তার উপর হামলার ছেষ্টা করায় তিনি দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সরকারী জায়গা থেকে সিমেন্ট এর পিলার তুলে নিয়ে বলে গেলেও পুলিশকে তোয়াক্কা না করে পিলার গুলো সেখানেই ফেলে রেখেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দামুড়হুদা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামানা করেছে এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *