জীবননগরে তাঁড়ি নামের মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া পুলিশের রহস্যজনক নিরবতা

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় শীত মৌসুমের শুরু থেকে বিভিন্ন গ্রামে খেজুরের রস দিয়ে তৈরী একধরনের মাদক (তাঁড়ি) বিক্রি ব্যাপক ভাবে শুরু হলেও এসব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

আশ্চায্যজনক হলেও সত্য জীবননগর থানার কয়েক’শ গজ দুরে মাদক (তাঁড়ি) ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তরা বেপরোয়া হলেও পুলিশ তাদের ব্যাপারে রহস্যজনক নিরবতা ভুমিকা পালন করে আসছেন।

এমনকি এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশের নিকট অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, এলাকায় সম্প্রতি চুরি-চা্ট্টা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির কারণ কি?

জীবননগর গোটা উপজেলার পাশাপাশি পৌর শহরের নারায়নপুর,গোপালনগর,ডাঙ্গাপাড়া, তেতুলিয়া, বাঁকা আশতলাপাড়া, লক্ষীপুর, সুবলপুর এলাকায় শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুর রস দিয়ে ব্যাপক ভাবে তাঁড়ি নামের মাদক তৈরীতে মাদক কারবারিরা ব্যাপক ভাবে তৎপরতা শুরু করে।

এসব মাদকের আড্ডায় বিভিন্ন এলাকার মাদকসেবীদের ব্যাপক আনাগোনা দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। এসব মাদক স্পট থেকে পুলিশের নামে টাকাসহ নানা সুবিধা আদায়েরও অভিযোগ করেন এলাকাবাসীর।

থানার চত্বরে পাশেই গোপালনগর গ্রাম। এই গ্রামের বেশ কয়েকজন তাঁড়ি নামের এই মাদকের কারবারের সাথে জড়িত। তাদের মাদকের ডেরায় প্রতিদিন শত শত মাদকসেবনকারীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

এ গ্রামের তাঁড়ি ব্যবসায়ীদের মধ্যে খায়রুল,সাজ্জাদ,সুমন,ডাঙ্গাপাড়ার উম্বত অন্যতম। এসব ব্যবসায়ীদের মাদক স্পটে আসা মাদক সেবনকারীদের বেপরোয়া অসংলগ্ন আচরনে গ্রামের নারী ও উঠতি বয়সের যুবতিদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের আচরন দেখে মনে হয় দেশে আইন-কানুন বলতে কিছুই নেই।

জীবননগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান ক্ষোভের সাথে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট আসা মাদকাসক্তরা এতটাই বেপরোয়া যে,তারা কোন কিছুই মানতে নারাজ।

তারা আমার ঘরের ভিতরে এসে বেমালুম মাদক সেবন ও অসংলগ্ন আচরন করে চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ওসি সাহেবকে একাধিকবার বলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছি,পুলিশ পাঠাচ্ছি বলা পর্যন্তই দায়িত্ব শেষ করেন। কখনও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বুঝি না,পুলিশের তাঁড়ি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়!

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,,আমরা বেশ কিছু মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এসব স্থানে পুলিশের অভিযান চলমান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জোরদার আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *