জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের পশ্চিমপাড়ার শারীরিক প্রতিবন্দ্বী হতদরিদ্রের বাড়ী ঘর আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে।
এসময় ছোট –বড় ১৫ টি ছাগল পুড়ে মারা যায়। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। ছাগলের ঘরে গ্লোবের(মশার কয়েল) আগুন থেকে এ ভয়াবহ আগুনের সুত্রপাত ঘটে।
আগুনের লেলিহান শিখায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী পশ্চিমপাড়ার মৃত হোসেন আলীর ছেলে জয়নাল মন্ডল(৬৫) একজন সহজ-সরল মানুষ। তিনি বাড়ীতে গরু-ছাগল পালন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
ভুক্তভোগী জয়নাল মন্ডল আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন,প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ীর রান্না ঘরের সাথে থাকা ছাগলের ঘরে রাতের বেলা মশা তাঁড়ানোর জন্য মশার কয়েল জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
আমরা সকলেই খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। এদিকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় আমরা ও প্রতিবেশীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি।
কিন্তু নিয়ন্ত্রণের আগেই সমস্ত বাড়ী ঘর পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এ সময় আগুনের লেলিহান শিখায় ১৫ টি ছাগল পুড়ে গিয়ে মারা যায়।
আগুনে পুড়ে গিয়ে আমার প্রায় তিন লাখ সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন কি করব,আমার তো আর কোন কিছু নেই। আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম। ভুক্তভোগী জয়নাল মন্ডলের পরিবারের সদস্যদের আহজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আহসান হাবিব রিপন বলেন,জয়নাল মন্ডল একজন হতদরিদ্র ও সহজ-সরল মানুষ। তিনি গরু-ছাগল পালন করে কোন প্রকারে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
আগুনের লেলিহান শিখায় তিনি এখন পুরোপুরি নি:স্ব। এখন সমাজের বিত্তবান সাহায্য সহযোগীতা ছাড়া তার আর ঘুরে দাঁড়ানোর কোন পথ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে জীবননগর উপজেলার পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এসকে লিটন বুধবার সকালে ভুক্তভোগী জয়নাল মন্ডলের বাড়ীতে যান এবং জয়নাল মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যদের শান্তনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে তাৎক্ষণিক ভাবে নগদ ১০ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করেন।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন,আমি ঘটনা শুনে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ও পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছি। মানুষটি অত্যন্ত গরীব। তিনি যাতে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।