জীবননগর দেহাটিতে রাস্তায় খড়ি রাখা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পিতা-পুত্র মারাত্মক জখম

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি শাহাপাড়ার একটি রাস্তার ওপর খড়ি রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেহাটির বিশিষ্ট ইট ভাটা মালিক শামীম ও তার পিতা সাধু শাহা মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছেন।

প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ৯ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ বাড়ী ঘর ভাংচুরের অভিযোগও উঠেছে। এসময় সামান্য আহত হয়েছেন প্রতিপক্ষ শরিফুল শাহা।

ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি শাহাপাড়ার শাহাদত হোসেন সাধু শাহার ছেলে সোহাগ হোসেন বলেন,আমাদের প্রতিবেশী সুলতান শাহাদের সাথে আমাদের নানা বিষয় নিয়ে আগে থেকে শত্রুতা চলে আসছে।

এ অবস্থায় আমার চাচা মুনসুর শাহা রাস্তা দিয়ে ভ্যান যোগে খড়ি পারাপার করার ঘটনায় সুলতান শাহার লোকজন আমার চাচার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা সাধনের জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে আমার বাবা শাহাদত হোসেন সাধু শাহা ও বড় ভাই শামীম হোসেনকে রাস্তায় আটকিয়ে সুলতান শাহা,তরুন শাহা,শরিফুল শাহা,হিরন শাহা,হাসান শাহা,পলাশ শাহা,মাসুদ শাহা,লাট সাহেব,রহিমা ও মাজেদা একজোট হয়ে বেধড়ক মারপিট কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

আমার ভাই শামীমের মাথায় ও পায়ে কোপ দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। প্রতিপক্ষরা আমার ভাই ও বাবাকে শরিফুল শাহার দোকান ঘরের মধ্যে আটকিয়ে নির্যাতন করে।

এ সময় আমার ভাইয়ের নিকট থাকা ইট ভাটার ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার ভাই ও বাবাকে জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে আমরা চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকার

সময় বাড়ীতে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। প্রতিপক্ষদের ভয়ে আমরা আতঙ্কিত।

কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন,ঘটনার সময় আমি জীবননগরে ২৬ মার্চের প্রোগ্রামে ছিলাম। ঘটনাটি আমি জীবননগরে বসেই শুনি। তবে ঘটনাটি একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। শামীম ও তার বাবা সাধু শাহ জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনাটি জানার সাথে সাথে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *