জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর-পুরন্দরপুর সড়কে ভোর রাতে ছিনতাইকারিরা দু’কলা ব্যবসায়ীকে আটকিয়ে তাদের নিকট থাকা আলমসাধু গাড়ী ও নগদ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি সোমবার ভোরের দিকে সংঘটিত হয়েছে। ছিনতাইকারিরা ওই দু’কলা ব্যবসায়ীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানের ভিতরে বেঁধে চলে যায়। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিন(৩২) বলেন আমি ও আমার গ্রামের জসিম উদ্দিন ৮-৯ মাস ধরে কলার ব্যবসা করে আসছি।
আমরা এলাকার বিভিন্ন চাষিদের নিকট থেকে কলা কিনে তা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকি। আমরা দু’জন প্রতিদিনের মত সোমবার ভোর ৫ টার দিকে আমাদের নিজস্ব আলমসাধু গাড়ী যোগে কলার ক্রয়ের জন্য নিশ্চিন্তপুর-পুরন্দরপুর সড়ক দিয়ে মাধবপুরের দিকে যাচ্ছিলাম।
উক্ত সড়কের ধাপাড়ী মাঠ নামক জনৈক সিরাজ মিয়ার বাগানের সামনে রাস্তায় পৌছানো মাত্রই ৬ জন দূর্বৃত্ত আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আটকিয়ে আমাদের আলমসাধু গাড়ী ও আমাদের নিকট থাকা ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে দু’জন মাধবপুরের দিকে চলে যায়।
আর বাকী ৪ জন দূর্বৃত্ত আমাদেরকে উক্ত বাগানের ভিতরে নিয়ে তাদের গামছা কেটে আমাদের হাত-পা বেঁধে চলে যায়। আমরা পরে কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে বাড়ীতে গিয়ে লোকজনকে ঘটনার কথা বলি।
দূর্বৃত্তদের মধ্যে একজনের সাথে আমাদের ধস্তাধস্তি কালে মুখ থেকে গামছা খুলে গেলে তাকে চিনতে পারি। তার নাম আরজ আলী। তার বাড়ী করচাডাঙ্গা জোলপাড়া।
দূর্বৃত্তরা যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে তাদের ব্যবহৃত একজোড়া স্যান্ডেল,গামছার টুকরা ও লাইলন সুতা ফেলে যায়। ঘটনার পর পরই শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং চিনতে পারা আরজ আলীর বাড়ীতে যায়। কিন্তু আরজ আলীকে তার বাড়ীতে পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মাফিজুর রহমান মাফি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত করচাডাঙ্গা জোলপাড়ার আরজ আলীকে সনাক্ত করা গেছে।
আরজ আলী এলাকায় একজন চিহিৃত দূর্বৃত্ত। ইতিপু্র্বে তাদের দূর্বৃত্তায়নের কারণে জেল-জরিমানাও হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,দূর্বৃত্তদের একজনকে সনাক্ত করা গেছে এবং পুলিশ মাঠে কাজ করছেন। খুব শিগগিরই ছিনতাই হওয়া আলমসাধু ও টাকা উদ্ধার এবং দূর্বৃত্তদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।