জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর আমতলা গ্রামীণ বৈশাখী মেলার নামে অবৈধ লটারীর টিকিট বিক্রির অপরাধে টিকিট ভর্তি ২টি ও খালি ২০টি ড্রাম জব্দ করেন উপজেলা
ভ্রাম্যমান আদালত। এদিকে আদালতের বিচারক মেলার মাঠ ত্যাগ করার আধা ঘণ্টা পরই আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আবারও লটারির টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেন মেলা পরিচালনা কমিটি’র সদস্যরা।
মঙ্গলবার রাতে সাড়ে নয়টার দিকে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল থেকে উপজেলার মনোহরপুর আমতলা মাঠে গ্রামীণ বৈশাখী মেলার লটারীর টিকিট জেলার বিভিন্ন স্থানে অটো ভ্যানে করে বিক্রি করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের আপত্তি থাকলেও ম্যানেজ করে চলছিল এ কার্যক্রম। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে এ অভিযান পরিচালনা করে মেলার মাঠ থেকে ২টি টিকিট ভর্তি বাক্স ও ২০টি খালি বাক্স জব্দ করেন।
অভিযান পরিচালনা শেষ করে আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেলার মাঠ ত্যাগ করার আধা ঘণ্টা পরই আবারও শুরু করেন অবৈধ লটারীর টিকির বিক্রির কার্যক্রম। মঙ্গলবার রাতে ১১টার দিকে টিকিট ড্র করার কথা থাকলে থানা পুলিশের একটি দল মেলার পুরো কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ বলেন, অবৈধ ভাবে লটারীর টিকিট বিক্রি করার খবরে আমরা মাঠে যায়।সেখান থেকে ২টি লটারি ভর্তি ও ২০টি খালি লটারির বক্স জব্দ করে থানায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক ভাবে তাদের সর্তক করা হয়েছে, তারা নিষেধ উপেক্ষা করে কার্যক্রম পরিচালনা করলে,তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এলাকাবাসির অভিযোগ বৈশাখী মেলার নামে সেখানে কৌশলে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে মেলা কর্তৃপক্ষ জুঁয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ জুয়ায় আসক্ত হয়ে বিপদগামী হচ্ছে এলাকার উঠতি যুবসমাজ। রাতে মেলার মাঠে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের আসর বসছে। তবে যা কিছু হচ্ছে তা প্রশাসনকে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে। সচেতন অভিভাবক মহলের দাবী ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হোক।