জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ায় এক উচ্ছৃঙ্খল মায়ের বেপরোয়া আচরনের কারণে নিজ ছেলের জীবন এখন হুমকির মুখে। মায়ের অপকর্মের এক সহযোগীর মাধ্যমে নিজ ছেলেকে বাপের বাড়ী ডেকে নিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগে মায়ের দু’সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনাটি শনিবার সকাল ৮.০০ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। আহত রক্তাক্ত ছেলেকে উদ্ধার করে জীবননর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ার মন্ডলপাড়ার আবু বক্কর ওরফে বাক্কা(৫০) বলেন,আমার স্ত্রী আফরোজা খাতুন বর্তমানে উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া প্রকৃতির।
আমার উক্ত স্ত্রী সম্প্রতি আমাকে ছেড়ে তার পরকীয়ার টানে গত ১৪ দিন আগে কোথায় চলে যায়। বর্তমানে তার বাবা-মায়ের বাড়ী দর্শনার ছয়ঘরিয়ায় অবস্থান করছে। আমার উক্ত স্ত্রীর সাথে আমার গ্রামের মৃত রফেজ মল্লিকের ছেলে সদর আলীর(৫৫) সাথে দীর্ঘদিনের গোপন পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
আমার উক্ত স্ত্রীকে আমাকে নাকি তালাক দিয়েছে শুনছি। এ অবস্থায় আমার বড় ছেলে আকাশ(১৫) তার মাকে আমার বাড়ীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
আমার ছেলে শনিবার সকাল ৮ টার দিকে তার মায়ের খোঁজে দর্শনার ছয়ঘরিয়া গ্রামে গেলে আমার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক সদর আলীর সহযোগী ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত বগা মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম আমার উক্ত ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
শরিফুল ইসলাম আমার ফুফু শ্বাশুড়ীর ছেলে। সেই মুলত: আমার স্ত্রীর সাথে সদর আলীর পরকীয়া প্রেমের প্রধান সহযোগী। আমার ছেলেকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আমার ওই স্ত্রীর জন্য আমার সংসারটা শেষ হয়ে গেল। আমার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে এখন আমি পথে পথে ঘুরছি।
সদর আলীর সাথে আমাদের জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সেই আক্রোশে সে আমার স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে পরকীয়া সম্পর্ক করে আমার বাড়ী থেকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রেখে দিয়েছে।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারটি আমি শুনেছি। স্থানীয় ভাবে কোন সমাধান করা যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে কার্যকরি ব্যবস্থা করা হবে।