জীবননগর রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে গাছ কর্তন, কারণ দর্শনের নোটিশ প্রদান 

জীবননগর অফিস:-
 চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ অবৈধ ভাবে কাটার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
গত রোববার বিকালে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ কর্তনকৃত ৩৭টি মেহগনি  গাছ জব্দ করেন এবং একই সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ১০ কাঠা জমিতে ৩৭টি মেহগনি গাছ ছিলো।
ওই গাছগুলোর বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান দু’জনে মিলে ঈদের ছুটির ভেতর বিক্রির উদ্দেশ্যে গোপনে গাছগুলো কাটেন। ঈদের ৩ দিন আগে গাছগুলো কাটার সময় গ্রামবাসী বাধাও দেন। তারা বাধা উপেক্ষা করেই গাছ কাটেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে শুধু একটা রেজুলেশন করা হয়েছে।বিধি মোতাবেক অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটতে পারেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো দিতে পারেননি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের ফার্নিচার করার জন্য রেজুলেশন করে গাছগুলো কাটা হয়েছে।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জ্জা তাহাজ্জত হোসেন বলেন, গাছগুলো কাটার ব্যাপারে কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফার্নিচার তৈরীর অজুহাত তুলে যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তা একেবারে নিয়ম বহির্ভূত। অবৈধ ভাবে গাছগুলো কেটে এখন খোড়া যুক্তি দেখানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে তা দিয়ে চেয়ার, বেঞ্চ বা টেবিল তৈরী করা সম্ভব না।
নিশ্চয় কর্তৃপক্ষের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। সুষ্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ বলেন, কোনো বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে প্রথমে নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ একটা রেজুলেশন করবেন।
এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা আবেদন করবেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়ার পর ওই কমিটি নিয়ম অনুযায়ী গাছ টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি অথবা নিলামে বিক্রি করবেন।
কিন্তু রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার ব্যাপারে নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি।
অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী গাছগুলো না কাটায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
৫ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *