জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরশাফুল আলমকে টানা ১৪ দিন হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকায় তাকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, টানা অনুপস্থিত থাকায় প্রথমে তাকে কর্মচারিদের মাধ্যমে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে তিনি সেটি রিসিভ করেনি। পরে তাকে মেইলে নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি সেটিও কোনো জবাব দেননি।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে থেকে হাসপাতালে আসেন না আরএমও আরশাফুল আলম। নেননি কোনো কোনো ছুটি। তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পাচ্ছে না হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
আরশাফুল আলমকে কারণ দর্শনের নোটিশ দিয়েও কোনো জবাব পায়নি তারা। আরএমও হাসপাতালে এসে গোপনে হাজিরা খাতায় সই করতে পারেন বলে কথিত রয়েছে।
তাই হাজিরা খাতা রাখা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ হেফাজতে।
এদিকে দীর্ঘদিন আরএমও আরশাফুল আলম অনুপস্থিত থাকায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আরএমওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, ২ মে থেকে হাসপাতালে আসছেন না আরএমও। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রেসপন্স করেছেন না।
এ কারণে তাকে ১২ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তবে তিনি সেটি রিসিভ করেননি। এরপর তাঁকে মেইলে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি তার জবাব দেননি।
হাসপাতাল পরিচালনায় স্বার্থে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন বলেন, এমন সমস্যা হলে সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি না পারলে আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন। তখন আমি ব্যবস্থা নিব।