জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারের কাঠপট্টিতে ভয়াবহ আগুনে ৬ টি দোকান পুড়ে ভস্মিভুত হওয়ার ঘটনায় জড়িত জামাই সোনা মিয়া ও তার সহযোগী শামীমকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। বুধবার রাত ১ টার দিকে এ ভয়বাহ আগুনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা শেষে সোনা মিয়া ও শামীমকে গ্রেফতার ও ঘটনার কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলে উদ্ধার করেন।
জীবননগর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়,জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতালপাড়ার ফার্নিচার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের মেয়ে খুশি খাতুনের সাথে উপজেলার উথলী ইউনিয়নের একতাপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সোনা মিয়া ৮ বছর প্রেম করার পর ৪ বছর আগে বিয়ে করে।
খুশি খাতুন পেশায় একজন মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট। অন্যদিকে সোনা মিয়া একজন বেকার যুবক। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ ছিল। গত ৯ মাস আগে খুশি খাতুন তার পিতামাতার বাড়ীতে চলে যান।
সর্বশেস ঘটনার চারদিন আগে খুশি খাতুন সোনা মিয়া তালাক প্রদান করেন। কিন্তু সোনা মিয়া সে তালাক কোন ভাবেই মানতে পারছিলেন না।
এতে সোনা মিয়া বিক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার রাত ১ টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কাঠপট্টিতে মোটর সাইকেল যোগে যায়। সেখানে নিজের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল থেকে পেট্টোল বের করে গাড়ীতে থাকা ন্যাকড়ায় লাগিয়ে তার শ্বশুর খোরশেদ আলমের কাঠের ফার্নিচারের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ সময় শ্বশুরের দোকানসহ আরো ৬ টি দোকান আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত হয়। সোনা মিয়া এ ঘটনার আগে তার শ্বশুর খোরশেদ আলমের বাড়ীর রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার এ কাজে সহযোগীতার জন্য পুলিশ জীবননগর পৌর শহরের বসতিপাড়ার খেজমত আলীর ছেলে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট শামীম হোসেনকে(২৯) গ্রেফতার করেন।
৬ টি দোকান ঘর পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দাবী। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও থানা পুলিশ এবং ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দোকান ৬টির কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন,সোনা মিয়া তার দাম্পত্য জীবনের কলহের জের ধরে শ্বশুর খোরশেদ আলমকে ধ্বংস করতে গিয়ে আমাদেরকেও পথে বসিয়েছে। আমরা তার কঠিন শাস্তি দাবী করছি। আমরা সবাই ছোট ব্যবসাদার। এখন আমরা কোথায় যাব,কি করে সংসার চালাব?
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান,ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সোনা মিয়া ও শামীম হোসেনকে গ্রেফতারের তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার ঘটনাটি পুর্বপরিকল্পিত ভাবে ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।