জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা গত ৭ মাস ধরে ছুটিতে রয়েছেন।তিনি বার বার মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে টানা ছুটি অব্যাহত রেখেছেন।
পরিবার অভিযোগ সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামী সন্তান রেখে এলাকা ছেড়েছেন। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে। অভিভাবক মহলে বিষয়টি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা বাঁকা ইউনিয়ননে প্রতাপপুর গ্রামের আফসার আলী বলেন,আমার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা উপজেলার আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত থাকা কালে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হঠাৎ আমার বাড়ী থেকে চলে যায়।
আমি তাকে বার বার চেষ্টা করি আমার বাড়ীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু সে আমার বাড়ীতে ফিরে না এসে একের পর এক মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে ছুটি কাটাতে থাকে।
এক সময় জানতে পারি আমার পরকীয়ায় আসক্ত। অতি সম্প্রতি আমাকে তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়ে বরগুনায় তার পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করেছে। এখন আমি দু’টি শিশু সন্তান নিয়ে অকুল পাথারে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ মে আবার ছুটি বাড়াতে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে। সে মুলত: এ ছুটির ফাঁকে বদলির তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মত স্কুল শিক্ষিকার জন্য শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
দিব্যি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাকে টানা ছুটি দিয়ে যাচ্ছে।
এলাকার একাধিক সচেতন অভিভাবক মহলের অভিযোগ সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা দীর্ঘদিন ক্লাশ অনুপস্থিত হওয়ার কারনে কোমলমত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উক্ত সহকারী শিক্ষিকা স্বামী সন্তানকে রেখে পরকীয়ার টানে অনেক আগেই এলাকা ছেড়েছেন। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে একের পর এক মেডিকেল সনদ দিয়ে ছুটি ভোগ করে যাচ্ছেন।
আর লেখাপড়া সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। একজন এমন শিক্ষিকার জন্য নিকট ছাত্রছাত্রী কি শিখবে দাবী করে এলাকার অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম হোসেন বলেন,স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা টানা ৭ মাস ধরে ছুটি ভোগ করছেন। বার বারই মেডিকেল জমা দিচ্ছেন আর ছুটি নিচ্ছেন।
যতবার মেডিকেল দিতে আসে,ততবারই তো তাকে সুস্থ স্বাভাবিক দেখা যায়। ভিতরে কি অবস্থা আল্লাহ-ই জানে। পরকীয়া প্রেমিকের সাথে করেছে কি না জানি না।
তবে তার স্বামী আফসার জানিয়েছে তাকে তালাক দিয়েছে! তার টানা অনুপস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়ার একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা সবাই অতিরিক্ত ৬:টি ক্লাশ ভাগ করে নিয়েছি।
তিনি গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে টানা ছুটি ভোগ করছেন। তবে তিনি কোন বেতন নিচ্ছেন না। বিনা বেতনে ছুটি ভোগের বিধান আছে।
সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকার মোবাইল ফোন নং-০১৯১৬-০৯৫৯৯৯ এ যোগাযোগ করিলে মোবাইল ফোনটি রিসিভ না করায় ঘটনার ব্যাপারে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন,জালাল উদ্দিন বলেন,সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা ছুটিতে আছেন। তবে ওই স্কুলে কোন শিক্ষক যেতে চাইলে তাকে বদলি করা হবে।