জীবননগর হাসাদহে শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ভ্যান চালককে মধ্যযূগীয় নির্যাতন বিনা চিকিৎসায় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন কবির

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহে বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালাতে নিষেধ করায় ঘটনায় হাসাদহ ঘুষিপাড়ার শারীরিক প্রতিবন্দ্বী পাখিভ্যান চালক কবির হোসেনকে(৪০) মধ্যযূগীয় নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি গত ১০ মে সকালের দিকে সংঘটিত হয়েছে।

অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে নিজ বাড়ীতে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ভ্যান চালক কবির হোসেন। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ঘুষিপাড়ার কবির হোসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্দ্বী। তিনি পাখিভ্যান চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

এ অবস্থায় গত ১০ মে সকাল ১০ টার দিকে হাসাদহ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার কাটাপোল গ্রামের আকালের ছেলে সাহেদ হোসেন(২৫) এবং হাসাদহ মাঝপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে সাইদুর রহমান(২৬) বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এ সময় ভ্যান চালক কবির হোসেন তাদেরকে আস্তে মোটর সাইকেল চালাতে বলেন। এতে সাহেদ হোসেন ও সাইদুর রহমান শারীরিক প্রতিবন্দ্বী কবিরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বেধড়ক কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ভ্যান চালক কবিরকে তারা পিচ রাস্তায় ফেলে নির্মম ভাবে পিটাতে থাকে।

এতে কবির মারাত্মক ভাবে আহত হয় এবং তার ঘাড়ের একটি হাড় ভেঙ্গে যায়।

এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলেও তার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কিন্তু তারপক্ষে কোন ভাবেই চিকিৎসা খরচ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় বিনা চিকিৎসায় বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন স্বামীর চিকিৎসার ব্যাপারে এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন,ঘটনাটি দু:খজনক ও নির্মম। এতদিন পার হলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের ঘটনার ব্যাপারে কোন অনুশোচনা

কিংবা সহযোগীতা মানসিকতা না দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। বাধ্য হয়েই প্রতিবন্দ্বী কবির হোসেন থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়েছেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *