জীবননগর কাশিপুরে এবার মাদক ব্যবসায়ী জামাইর বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ীর পাল্টা মানববন্ধন 

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুরে মেয়ে-জামাইয়ের মানববন্ধনের চার দিনের মাথায় এবার শ্বাশুড়ী আবেদা  খাতুন(৪০) পাল্টা মানববন্ধন করলেন জামাই মিন্টুর বিরুদ্ধে।
তিনি জামাই মিন্টুকে মাদক ব্যবসায়ী ও অত্যাচারি দাবী করে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জামাই মিন্টুর ভয়ে শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন মঙ্গলবার বিকালে কাশিপুর গ্রামের শেষপ্রান্ত কাশিপুর হাইস্কুল সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন করেন।
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের সোনা মিয়ার ছেলে মিন্টু রহমান ওরফে মিন্টু ঘরে স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্বেও গত দুই বছর  বছর আগে কাশিপুর উত্তরপাড়ার আবেদা খাতুনের মেয়ে এক কন্যা সন্তানের জননী সুন্দরী জুই খাতুনকে(২৪) বিয়ে করেন।
বিয়ের পর মিন্টু জুই খাতুনের মায়ের বাড়ীতেই বসবাস শুরু করেন। এ অবস্থায় মিন্টুর মাদক কারবারিসহ নানা কারণে জামাই শ্বাশুড়ীর বিরোধ শুরু হয়।
শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন মানববন্ধনে বলেন,মিন্টু একজন মাদক ব্যবসায়ী নানা অপকর্মের হোতা।
যে কারণে আমার বাড়ীতে প্রায়ই  প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিটের লোকজন তাকে ধরতে আসে।
এমন পরিস্থিতিতে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। আমি তাকে মাদক ব্যবসা বন্ধ, নয়তো আমার বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার কথা বলার কারণে মিন্টু আমার ওপর চটে ওঠ এবং আমার বিরুদ্ধে আমার মেয়ে জুইকে লেলিয়ে দেয়।
সম্প্রতি মিন্টু,আমার ভাই নজরুল ইসলাম নজুদের বিরুদ্ধে আমাকে অত্যাচার ও নির্যাতনে ব্যাপারে একটি মামলা করাই তারা আমার ওপর  আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে গত শনিবার আমার মেয়েকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে এবং সেখানে আমার বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে।
মিন্টু এলাকায় দম্ভোক্তি করে বলে,পুলিশ ও এমপির ভাই আমার হাত আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।
মিন্টু আমার ঘরে কিংবা দখলে মাদক দ্রব্য রেখে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত আবেদা খাতুনের শিশু পুত্র রাজ হোসেন(১২) বলেন,মিন্টু আমাকে গাঁজা ফেনসিডিল তার বলামত জায়গায় আমাকে পৌঁছে দিতে বলে। আমি তার কথা না শুনলে আমাকে মারধর করে।
মানববন্ধনে উপস্থিত নারী-পুরুষ সকলেই আবেদা খাতুন সামাজিক মানুষ ও তার মেয়ে জুই খাতুনের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মিন্টুর শাস্তি দাবি করেন।
 অভিযুক্ত মিন্টু রহমান মিন্টু তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ করে বলেন আমার শ্বাশুড়ী আবেদা খাতুন একজন অসামাজিক মানুষ।
তার নিজের মেয়েই তা মানববন্ধনে তুলে ধরেছে। কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার মিলন হোসেন বলেন, মা-মেয়ের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন নিয়ে এলাকায় মুখরোচক গল্পের সৃষ্টি হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,জামা-শ্বাশুড়ীর পাল্টাপাল্টি মানববন্ধনের শুনেছি। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *