জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানের ওপর অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা-জীবননগর সড়কে আকন্দবাড়ীয়া আবাসন এলাকায় রাস্তায় সংঘটিত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার আব্দুল হান্নানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন বলেন, রোগীর পিঠের বামপাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার ফুসফুসেও ক্ষত সৃষ্টি হয়েছ।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।
জানা গেছে, আব্দুল হান্নান ব্যক্তিগত কাজে মঙ্গলবার সকালে দর্শনায় গিয়েছিলেন। ফেরার পথে আকন্দবাড়ীয়া আবাসন এলাকায় মোটর সাইকেলে দু’জন পিছন থেকে তার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন।
তিনি সেই অবস্থায় মোটর সাইকেল চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন। পরে তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব না হলেও ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।অনেকের ধারণা নিজ রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) একরাম হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে থানা-পুলিশের একটি দল গেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছি। আহত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান দূর্বৃত্তদের চিনতে পারেননি। কারণ দূর্বৃত্তরা মাথায় হেলমেট পরিহিত ছিল। চেয়ারম্যানকে তারা কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে তিনি ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে তার সন্তোষপুরস্থ বাড়ীর সামনে পৌছানো মাত্র অজ্ঞাত দূর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন।