জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর খায়রুল বাশার (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে পিয়ারাতলা মা-বাবা ইটভাটার পিছনের একটি মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি সোমবার দিনগত রাতের কোন এক সময় পার্শ্ববর্তী একটি তাঁড়ী খোলা থেকে মাদকাসক্ত হওয়ার এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছেন হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। নিহত খায়রুল বাশার পিয়ারাতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মণ্ডলের ছেলে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, খায়রুল বাশার সোমবার বিকালের বাড়ী থেকে বের হন। পরবর্তীতে রাত শেষ হয়ে গেলেও তিনি আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি।
পরবর্তী মঙ্গলবার সকালে পিয়ারাতলা গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবক মা-বাবা ইটভাটার পিছনের মাঠে ঘাস কাটতে গেলে মাঠে খায়রুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় থানা পুলিশের একটি দল।
মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসীর দাবী ,খায়রুল মন্ডল একজন মাদকাসক্ত এবং পিয়ারাতলা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাশে গড়ে ওঠা একটি তাঁড়ীখোলা মাদক স্পষ্ট থেকে ভ্যাঁপসা গরমের মধ্যে তাৃড়ী কিংবা গাঁজা সেবন করে। পরবর্তীতে পায়ে হেটে মাঠের ভিতর দিয়ে বাড়ী যাওয়ার সময় সনয় হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, খায়রুল বাশার ফকির মতের অনুসারী ছিলেন এবং গাঁজা ও তাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করতেন বলে জানা গেছে। মাদকদ্রব্য সেবনের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকালে পিয়ারাতলার মা-বাবা ইটাভাটার পিছনের একটি মাঠ থেকে খায়রুল বাশার নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।