জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামে সাবেক জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ীর ঘরের দরজা কৌশলে খুলে রাতের আধারে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকারসহ জমির সমস্ত দলিল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দিনগত শনিবার রাতে শ্বাশুড়ী ও স্ত্রী তাদের বাড়ীতে অনুপস্থিতির সুযোগে বখাটে জামাই সোহেল রানা চুরি শেষে শ্বাশুড়ীর মোবাইলে ফোনে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করলে শ্বাশুড়ী চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী পশ্চিমপাড়ার মৃত আবুল কালাম কালুর স্ত্রী মুসলিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,আমার একমাত্র কন্যা তরুনা খাতুনের সাথে একই গ্রামের জমশের আলীর ছেলে সোহেল রানার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় সোহেল রানা মাদকাসক্ত ও নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সে তার স্ত্রী-সন্তানদের ঠিকমত দেখভাল না করলেও মাদক সেবন করে আমাদের ওপর নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাতে থাকে। ইতিপুর্বে সোহেল আমার মেয়ে তরুনাকে তিন দফায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
আমরা তার ভয়ে ছয় মাসের বেশী সময় ধরে জীবননগর শহরে ভাড়ার বাড়ীতে ছিলাম। আমার মেয়ে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বাধ্য হয়েছে তালাক দিতে। আমার জমির আম বাগান কেটে দিয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। এখনও তার ভয়ে আমি ও আমার মেয়ে তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি।
আর এ সুযোগে সে শুক্রবার দিনগত শনিবার রাতের আধারে আমার বাড়ীর পিঁছনের দরজা কৌশলে খুলে ঘরে থাকা নগদ ৭২ হাজার টাকা,তিন ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও জমি জায়গার সমস্ত দলিল চুরি করে নিয়ে যায়।
সে কতটা ভয়ংকর যে,আমার ঘরে চুরি করে আবার আমাকেই মোবাইল ফোনে বলছে তোর দখলে দেখ দলিলসহ সব কিছু চুরি হয়ে গেছে। সোহেল বর্তমানে আমাদেরকে সব সময় জবাই করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। তার ভয়ে আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। এ ঘটনার কয়েকদিন আগেও ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু আমরা আর্তচিৎকার দেয়ায় পালিয়ে যায়।
পুলিশ তাকে বার বার চেষ্টা করেও গ্রেফতার করতে পারছে না। আর সে গ্রেফতার না হওয়ার কারণেই আরো বেশী বেপরোয়া হয়েছে। তার ভয়ে গ্রামের কেউ তাকে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
তার বাবা-মা ও ভাইদের যেন তার প্রতি কোন দায়িত্বই নেই। আমার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা,স্বর্ণালংকার ও জমির দলিল চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার তৌফিকুর রহমান টিটো বলেন,সোহেল রানা খুব খারাপ। সে কারো কথা শোনে না। সে কিছু দিন আগে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
তাকে দমন করতে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুরির ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।