জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শাখারিয়া পিচ মোড়ে এক যুবক তার পিতার নিকট থেকে জমি লিখে নিতে ব্যর্থ হয়ে পিতার প্রতি অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ছেলে আওলাদ হোসেন(৫০)। ঘটনা রোববার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে।
এ্ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি অপমৃত্য হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সুত্র জানায়,জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া পিচ মোড়ের ইউসুস আলী ঘটকের ছেলে আওলাদ হোসেন তার পিতার নামীয় জমি তার নিজ নামে লিখে নেয়ার জন্য পিতা ইউসুফ আলীকে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু ইউসুফ আলী তার জীবদ্দশায় জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় আওলাদ হোসেন পিতার প্রতি অভিমান করে রোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সবার অজান্তে বিষপান(ঘাসপোড়া
কীটনাশক) করে।
এ সময় বাড়ীর সামনে আওলাদ হোসেন অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করেন।সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।।
যশোর সদর হাসপাতালে ডাক্তার তাকে পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে জানান যে,তাকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়।
কারণ ইতিমধ্যেই তার কিডনি ও ফুঁসফুঁসে ড্যামেজ হয়ে গেছে। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ী নিয়ে চলে আসে। বাড়ীতে অবস্থানের বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আওলাদ হোসেন মারা যায়। এদিকে পুলিশের নিকট মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ
হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে থানা হেফাজতে নেয়।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্যা বলেন,ঘটনার পর আওলাদ হোসেনকে বাঁচানোর জন্য তার পরিবার চেষ্টার ত্রুটি
করেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আওলাদ হোসেন বাপের নিকট থেকে জমি না পেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে আমি শুনেছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,লাশের সুরতহাল প্রস্তুত শেষে লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সোমবার সকালে লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরন করা হবে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়া গেলে মুত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।