জীবননগর অফিস:
জগৎ-দুনিয়া সৃষ্টির পর থেকে প্রেম-ভালবাসার অনেক ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। অনেক প্রেম ভালবাসা জগতে অমর হয়ে আছে। আবার অনেক ভালবাসা পৃথিবীর বুকে নিদারুন ও বিচিত্র এবং অসম বিয়ের ইতিহাস গ্রাম বাংলায় দেখা যায়।
কেউ প্রেমে হয়েছে ধন্য,কেউ হয়ে জঘন্য । তবে পৃথিবীতে পুরুষের সাথে পুরুষের বিয়ে ঘটনা বোধ হয় কমই শোনা কিংবা দেখা গেছে।
প্রেমের সব ইতিহাস ভেঙ্গে এবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামে পুরুষের সাথে পুরুষের গোপন প্রেমের এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে বিয়েও করেছে। তারা দু’জনে ঘর সংসারও করছিল।
কিন্তু তাদের পরিবার ও গ্রামবাসী সেই বিয়ে মানতে না পেয়ে থানা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে শনিবার দিনগত রোববার গভীর রাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পুলিশে কাছে তারা বিয়ের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছেন।
জানা গেছে,জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে এনায়েত উল্লাহ(২৩) পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গার গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সবুজ হোসেন(২৪)। সবুজ হোসেন নিজেকে তৃতীয় লিঙ্গের দাবী করলেও এলাকাবাসীর দাবী সে ছদ্মবেশী হিজড়া।
এনায়েত উল্লাহ ও সবুজ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ভালবাসার এক পর্যায়ে এনায়েত উল্লাহ’র ঘর স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্বেও গত দু’দিন আগে সে সবুজ হোসেনকে বিয়ে বাড়ী নিয়ে তোলে। তাদের এ অসম বিয়ের ব্যাপারটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সবার মধ্যে এক ধরণের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
তাদের এ অসম বিয়ের ব্যাপারে বাধ সাধে এনায়েত উল্লাহর প্রথম স্ত্রী মেহেরনিকা। তিনি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বিষয়টি পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ শনিবার গভীর রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ হোসেন জানায় পুরোপুরি পুরুষ। তবে সে মেয়েলী স্বভাবের। তার দাবী সে অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের বিয়ে হয়েছে মৌখিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এনায়েতু উল্লাহ ও সবুজ হোসেনের অসম প্রেম এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাদের বিয়ের স্বপক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারিনি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,এনায়েত উল্লাহ ও সবুজ হোসেন একে অপরকে বিয়ে করে তারা এলাকায় ঘর সংসার শুরু করলে তারা গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়ে।
আমরা ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদেরকে আটক করি। তারা একে অপরকে বিয়ে করেছে মর্মে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।