জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্দ্বী স্বামী পরিত্যক্তা গৃহবধু সাথী খাতুন(৩০) নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাটি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পাকা গ্রামে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া পাকা গ্রামের শহিদুল সরদারের মেয়ে সাথী খাতুনকে তার স্বামী তাকে তালাক প্রদান করে। তিনি এ অবস্থায় পিতার বাড়ীতে জীবনযাপন করতে থাকেন। সাথী খাতুন পিতামাতার বাড়ীতে বসবাস করা কালীন সময়ে গত ৪-৫ মাসে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতো।
পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে মাঝেমধ্যেই বাড়ীতে ফিরিয়ে আনতো। এই অবস্থায় সাথী খাতুন তার পিতার বাড়ীতে অবস্থান করা কালে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নিজ বসত ঘরে অবস্থান করা বাড়ীর সবার অজান্তে নিজ ঘরের শয়ন কক্ষের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনাটি পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সাথী খাতুন ছিলেন স্বামী পরিত্যক্তা ও মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ। বাড়ীর সবার অজান্তে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে
আত্মহত্যা করে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে লাশ
বিনা ময়না তদন্তে দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।