জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুরে পৃথক দু’টি ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় বাউল শিল্পী আতিয়ারসহ কমপক্ষে ৫ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। আহতদেরকে জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি সোমবার বিকালে সংঘটিত হয়েছে। পৃথক এ ঘটনায় জীবননগর থানায় মামলা করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পুরাতন কৃষ্ণপুরের বাউল শিল্পী আতিয়ার রহমান(৫৩)বলেন,সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় আমার গ্রামের প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার ও আলতাব এবং রবিউল ইসলামের স্ত্রী শান্তি বেগম আমাকে আমার বাড়ী সংলগ্ন রাস্তার ওপর আটকিয়ে
বিনা উস্কানিতে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। মশিয়ার আমার মাথায় হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা সবাই আমাকে মারপিট করতে থোকে।
লোকজন ছুটে আসা দেখে তারা পালিয়ে যায়। পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে মশিয়ারদের সাথে আমাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমি জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি।
এদিকে একই দিন বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় কৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার জেহের আলী মন্ডলের নেতৃত্বে মামলা প্রত্যাহার করে না নেয়ার ঘটনায় একই গ্রামের রাজু হোসেন ও তার ভাই সাজু হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে।
কৃষ্ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজু হোসেন(৩৫) বলেন,আমার সাথে একই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার রহমানের আদালতে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলাটি সামনে সাক্ষীর দিন ধার্য আছে।
এদিকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য মশিয়ার তার মামা সাবেক মেম্বার জেহের আলী আমাকে নানা ভাবে চাপ দিয়ে আসছিল।
কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে মারধর করার হুমকিও দেয়। এ অবস্থায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে জেহের আলীর নেতৃত্বে মশিয়ার ও তার ভাই আলতাব,সুজনও আফসার আলী হাতে লাঠিসোটা,লোহার রড,হাসুয়া ইত্যাদি নিয়া আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে।
তারা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকী দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। সুজন ও জেহের আলী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে বাম হাতে পর পর দু’টি বাড়ি দিয়ে মারাত্মক ভাবে হাড়ভাঙ্গা জখম করে।
আমার ভাই সাজু ঠেকাইতে আফসার তার মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এ সময় আমার মা রেহেনা ও স্ত্রী রুনা তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা তাদেরকে মারপিট করে আহত করে।
আমি ঘটনার পর জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি।
এ ঘটনায় রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আকবর আলী বলেন,ঘটনার সময় আমি বাড়ীতে ছিলাম না। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট ঘটনার কথা শুনেছি।
অভিযুক্ত মশিয়ার রহমান তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,রাজুরায় আমাকে মারপিট করে। আমি ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে পৃথক দু’টি এজাহার পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।