আন্দুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়ীয়া সড়কে গণ ডাকাতির ঘটনায় রহস্য উদঘাটনে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডাকাতির চার দিনের মাথায় ডাকাতির লুট করা একটি চেক গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় আন্দুলবাড়ীয়া গ্ৰামের বাজার পাড়ার লিটন শেখের দ্বিতীয় পুত্র শেখ শামীম হোসেন ওরফে শামীম শেখ ব্যাংকে ভাঙ্গাতে আসেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন চেকটি হাতে পেয়ে ০২০০০৮৩৭৭৫৮১১ উক্ত একাউন্ট নম্বরে কম্পিউটারের সার্চ দিলে গ্ৰাহকের নাম সহ মোবাইল নম্বার স্কীনে ভেসে উঠলে তিনি শামীম শেখ কে বলেন যে,আমি উক্ত গ্ৰাহককে ফোন করি এ সময় শামীম বলেন,না আপনাকে ফোন দিতে হবে না।
আমি ফোন করছি ।এ কথা বলে তিনি ব্যাংক অফিসারকে বোকা বানিয়ে মোবাইলে গ্ৰাহকের সাথে কথা বলার অভিনয় নাটক করেন।
এ সময় তিনি অবস্থা বেগতিক দেখে এক অভিনব কৌশলে ব্যাংক থেকে দ্রুত সটকে পড়েন শামীম শেখ।
রোববার সকাল সাড়ে ১০ আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মিশুকষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আইএফআইসি ব্যাংক আন্দুলবাড়ীয়া উপ শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে,চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্ৰামের মৃত নওশের আলী মিয়া’র ছোট পুত্র ও আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসার্স শোভন পোল্ট্রি ফার্ম ও মেসার্স এস.এ ফুড প্রডাক্টস
এন্ড কনফেকশনারী স্বত্ত্বাধিকারী রফিকুর রহমান লাবু’র বেকারীতে রুটি-বিস্কুট তেরীর মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে লাবু মোবাইলে নওগাঁ,সান্তাহারের লেদ ও ওয়াকসপ মিস্ত্রী রেজাউলকে খবর দেন।তিনি যন্ত্রাংশ মেরামত করতে তার আপন শ্যালক রিমন মিস্ত্রীকে পাঠান ।
তিনি গত বুধবার বিকেলে আন্দুলবাড়ীয়া’র অনন্তপুর গ্ৰামে উক্ত কারখানায় আসেন।তিনি ২ দিন যাবত রাত-দিন কাজ করেন।কাজ শেষ হলে বেকারী মালিক মিস্ত্রী রিমনকে নগদ টাকার পরিবর্তে আইএফআইসি ব্যাংক আন্দুলবাড়ীয়া উপ-শাখার অনুকূলে একটি লিখিত ২৫ হাজার টাকার চেক সহি স্বাক্ষর করে দেন।
কাজ শেষে বেকারী মালিক লাবু ও তার একবন্ধু মিস্ত্রী রিমনকে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে,আন্দুলবাড়ীয়া বাজার থেকে মিশুক না পেয়ে তাকে একটি জৈনক ব্যক্তির ট্রাকে তুলে দেন এবং ট্রাক ড্রাইভারের নিকট তাকে সন্তোষপুর নামক বাস-মিশুক ষ্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু রিমন বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পথিমধ্যে সন্তোষপুরের কনটেক কন্সট্রাকশন মিলের অদূরে পুলিশ বক্সের নিকট পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা একদল সংবদ্ধ মুখোশধারী ডাকাত দল ট্রাকের গতিরোধ করে ব্যারিকেট দেন এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে ড্রাইভার-হেলপার ও পথচারী সহ সকলকে পৃথক -পৃথক ভাবে জিম্মি করে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার সহ একটি চেক লুট করে নেয়।ডাকাতির কবলে পড়ে লুটকৃত চেক নিয়ে।
এ ব্যাপারে,আইএফআইসি ব্যাংক আন্দুলবাড়ীয়া উপ-শাখার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ভারী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে ব্যা়ংক খুলতে একটু বিলম্ব হয়েছিল।
তিনি এ সুযোগে ব্যাংক খোলার আগেই অবস্থান করছেন। এমনকি একটু দেরী হওয়ার কারণে তিনি আমাকে চার্জ করেন। একাউন্ট যাচাইয়ে পর আমি গ্ৰাহককে ফোন করে এ ঘটনা জানান এবং দ্রুত ব্যাংকে আসতে বলি।
এ ছাড়াও গ্ৰাহকের উপস্থিতিতে ৯৯৯ এ ফোন করে জীবননগর থানার ওসিকে জানাই।
তিনি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ,হাসান ,আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন, আইএফআইসি ব্যাংক ইনচার্জ মোতালেব হোসেন,শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের এস আই পলাশ কুমার বিশ্বাস,জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এস জাবীদ হাসানের বডিগার্ড এ এসআই সোহেল সহ সঙ্গীয় ফোর্স।