ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে প্রবাসে গিয়ে লাশ হলেন জীবননগরের পলাশ

জীবননগর অফিস:-

ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে এনজিও আর আত্মীয় স্বজনদের নিকট টাকা ধার নিয়ে পলাশ হোসেন(৩২) নামের এক যুবক পাড়ি জমান মালয়েশিয়া। সেখানে এক বছরের মাথায় শনিবার সকাল (বাংলাদেশ সময়) ৭ টার সময় হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ মারা যান। এ সংবাদ পরিবারের নিকট পৌঁছালে স্বজনেরা তা প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলে পরে তারা কান্নাায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় আশপ পাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। 

পলাশ হোসেনন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা বাজারপাড়ার হোমিও চিকিৎসক শাহাব উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সুত্র জানায়,পলাশ হোসেন একজন পল্লী চিকিৎসক হিসাবে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার হুশোরখালী মোড়ে রোগী দেখতেন। সেখানে তার শ্বশুর বাড়ী। তিনি সংসারে উন্নতির জন্য স্থানীয় দালালের মাধ্যমে গত এক বছর আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সেখানে তিনি বিগত দিনে ভাল ভাবে কাজের সুযোগ পেলেও সম্প্রতি আগের আর কাজের সুবিধা পাচ্ছিলেন না। ফলে পরিবারের সকলের চাহিদাও তার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
যে কারণে তিনি মানষিক ভাবে কিছুটা চিন্তা গ্রস্হও ছিলেন। তিনি এ অবস্থায় শনিবার ফজরের নামাজ শেষে নিজ বেডে শুয়ে থাকার কিছুক্ষণের মাথায় বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং মারা যান।
মালয়েশিয়া অবস্থানরত নাজমুল হক মুঠো ফোনে জানান,নিহত পলাশ আমার ভগ্নিপতি।
জানামতে পলাশের তেেমন কোন দায়দেনা কিংবা টেনশন করার মত কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত মাসে কাজ একটু  কম চিন্তা করতো।

পলাশের ছোট ভাই সজল হোসেন বলেন, আমার ভাই পলাশ গত এক বছর আগে মালয়েশিয়া যান। সেখানে ভাই আমার ভালই ছিলেন। শনিবার সকালে আমরা মোবাইল ফোনে জানতে পারি পলাশ ভাই স্ট্রোক করে মারা গেছে।

ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। এখন তাদের কি হবে,কি মানুষ করব? লাশ কি ভাবে কবে নাগাদ দেশে ফিরে আসবে তা এখন জানতে পারিনি। আমাদের নিকট যে সমস্ত কাগজপত্র চেয়েছে তা পাঠিয়ে দিয়েছি।

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন,ঘটনাটি দুঃখজনক। পলাশ একটি প্রান্তিক পরিবারের সন্তান। সে এলাকায় একজন ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *