জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা-ধোপাখালী-ভায়া কালা ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কটির মাঝখানে ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তা এখন পথচারীদের জন্য রীতিমত মরণ ফাঁদ হয়েছে।
সড়কের কালা বিল সংলগ্ন স্থানে কয়েক মাস আগে রাস্তাটি দেবে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকরি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে উক্ত সড়কের দেবে বসে যাওয়া স্থান দিয়ে পানির শ্রোত যাওয়ার কারণে সেখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটির এমন দশার কারণে ইতিমধ্যেই অনেকেই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে রাস্তাটি এমন বেহাল দশার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরি ভুমিকা না থাকায় পথচারী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার কালা গ্রামের আল আমিন বলেন,জীবননগর থানা-ধোপাখালী ভায়া কালা সড়কটি বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনগুরুত্বপুর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক। সড়কের কালা বিল সংলগ্ন স্থানে কয়েক মাস আগেই হঠাৎ দেবে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়।
এদিকে হঠাৎ কয়েক দিনের টানা ভারী ও গুড়ি গুড়ি বর্ষণে মাঠের পানি সড়কের উক্ত গর্তের ওপর দিয়ে যাওয়ার ফলে তা ভেঙ্গে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
রাস্তায় হঠাৎ এমন দশার কারণে ইতিমধ্যেই অনেকেই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উক্ত রাস্তার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
পথচারী রিপন হোসেন বলেন,রাস্তায় হঠাৎ গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পথচারী ও ভ্যান গাড়ীসহ অন্যান্য যানবাহন চালকদেরকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
বিশেষ করে মোটর সাইকেল চালক ও ভ্যান চালকদেরকে সবচেয়ে বেশী বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তাটি যখন দেবে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল,সে সময় উদ্যোগ কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহন করা হলে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হত না।
ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিন খোকন বলেন,এসড়কে দীর্ঘদিন ধরে ইজিবাইক গাড়ী চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে রাস্তায় ভাঙ্গন সৃষ্টির কারণে আমাদেরকে উক্ত স্থানে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। গাড়ী চালানো চরম ঝুঁকি হয়ে পড়ছে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মনিরুল ইসলাম দুদবারী বলেন,উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের লোকজন রাস্তাটি দেখে গেছে।
তবে এখন পর্যন্ত রাস্তার ব্যাপারে কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। হঠাৎ করেই রাস্তাটি ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ব্যস্ততম এ সড়কে চলাচলকারীদেরকে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন,সড়কটির কথা আমি শোনা মাত্রই উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
তারা সড়কটি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন। তবে দু’এক দিনের মধ্যেই সড়কের গর্তটির ব্যাপারে করণীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।