জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফুফাতো ভাইয়ের সাথে দর্শনা রুদ্রনগর গ্রামের মামাতো বোনের মোবাইল ফোনে বিয়ের এক বছরের মাথায় দাম্পত্য জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা শান্তিপুর্ণ ভাবে আপস নিস্পত্তির জন্য ঘরোয়া পরিবেশে বসার আগেই হামলার শিকার হয় প্রবাসীর মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজন। ঘটনাটি শুক্রবার বিকালের দিকে জীবননগর পৌর শহরের লাভলীপাড়ায় সংঘটিত হয়েছে।
এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর মাঝপাড়ার জালাল মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান(৪৫) বলেন,সৌদি প্রবাসী আমার ছেলে শিলনের সাথে গত এক বছর আগে দর্শনা থানাধীন রুদ্রনগরে বসবাসকারী আমার শ্যালক শফিকুলের মেয়ে জ্যোঁতি খাতুনের বিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই জ্যোঁতি খাতুন আমার ছেলে ও আমাদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরন করতে থাকে। আর সারাদিন মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকে।
এসব নিয়ে অভিভাবক হিসাবে শফিকুল ইসলামকে জানালে সে উল্টা আমাদেরকে হুমকি ধামকী দিতে থাকে। এক পর্যায়ে জ্যোঁতির সাথে আমার ছেলে ও আমাদেরকে কথাবার্তা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকার পর জীবননগর লাভলীপাড়ায় বসবাসকারী আমার চাচা শ্বশুর রশিদ গাজী আপস নিস্পত্তির জন্য প্রস্তাব দেয় এবং আপস নিস্পত্তির জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মীয়-স্বজন সহকারে শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে উক্ত চাচা শ্বশুর রশিদ গাজীর বাড়ীতে আমরা যাই।
প্রবাসী শিলনের মা শিউলী খাতুন বলেন,আমার চাচা রশিদ গাজীর বাড়ীতে থাকা অবস্থায় আমার ভাই শফিকুল ইসলাম,ফারুকুল,ভাবী খাদিজা আমাদের ওপর চড়া হয় এবং মারধর করে জখম করে।
আমার চাচা রশিদ গাজীর কারণেই তারা আমাদেরকে মারপিট করেছে। আমার ভাই শফিকুল আমার বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
আমাকে ঠেকাইতে গিয়ে আমার বড় বোন সাবেরা খাতুন,ফুফাতো দেবর আলমগীর হোসেনরাও মারপিটের শিকার হয়। এ সময় আমার নিকট ব্যাগে থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা আমার ভাবী খাদিজা খাতুন বের করে নেয়।
আমি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করার কারণে চাচা রশিদ গাজীর জামাই পরিচয়ে শফিক নামে একজন আমাদেরকে হুমকি ধামকী দিচ্ছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।