দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় মাদক  বিক্রির বাধা দেয়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

জীবননগর অফিস:-
দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়ায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে আহত করেছেন মাদক কারবারিরা। শুক্রবার দুপুর ২টার  দিকে  আকন্দবাড়িয়ার গাংপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দর্শনা থানা বিএনপি’র সেক্রেটারি আহমদ আলীর পালিত ছেলে শরিফুল ইসলাম ( ৪৫), মৃত নবীছদদির ছেলে রবিউল ইসলাম খোকা (৫৫), শরিফুল ইসলামের ছেলে  শিলন(২০) এবং ফজলুর রহমানের ছেলে শামীম (২৩)।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দর্শনার আকন্দবাড়িয়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লালু মিয়ার ছেলে মোল্লা (৩৫), লালু মিয়ার নাতি আল আমিন (২৩), লালু মিয়ার মেয়ে শিফা খাতুন ( ৩০), লালু মিয়ার স্ত্রী হামিদা খাতুন ( ৬০)  এবং লালু মিয়া (৬০)  মাদক ব্যবসা করে আসছে। প্রায় সময় ধরে লালু মিয়ার বাড়িতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অপরিচিত লোকের আনাগোনা সহ প্রকাশ্যে ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছে।
একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম বাড়ির পাশে মাদক বিক্রি না করতে লালুসহ পরিবারের সকলকে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করে।
এ নিয়ে সকালে মাদক ব্যবসায়ী লালুর পরিবারের সকল সদস্যের সাথে  শরিফুল ইসলামের  কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় শরিফুল ইসলামকে দেখে নেয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় মাদক ব্যবসায়ী লালু। এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে  লালু ও তার পরিবারের সকল সদস্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শরিফুল ইসলাম ও তার নিকট আত্মীয়স্বজনের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে এবং তাদেরকে মারাত্মকভাবে আহত করে।
 এ বিষয়ে  লালু মিয়ার ছেলে মোল্লার সাথে  মুঠোফোনে কথা বললে তিনি  মাদকের বিষয়টি সম্পূর্ণ  অস্বীকার করে বলেন ,বাড়ির পাশে কচু শাক তোলা কে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলাম এর কন্যা স্নিগ্ধার(২৫) সাথে আমার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জের ধরে স্নিগ্ধার বাবা শরিফুল ইসলাম এবং তার নিকট আত্মীয়-স্বজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদেরকে আহত করে। এছাড়াও আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হাওয়ায় দামুড়হুদা চিতলা  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
এ বিষয়ে  দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, খবরটি শোনা মাত্র দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও উভয় পক্ষের কেউ থানায়  লিখিত অভিযোগ করেনি।  লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে   আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *