জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ মাঝপাড়ায় দেড় বছর আগে ড্রাগন চুরির ঘটনায় সাক্ষী দেয়ার অপরাধে প্রতিপক্ষের হামলায় সাক্ষী বৃদ্ধ কামাল উদ্দিনের(৬০) একটি হাত ভেঙ্গে মারাত্মক আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হাসাদহ পুরাতন কবরস্থান মাঠে সংঘটিত হয়েছে। আহত কামাল উদ্দিন চিকিৎসা শেষে ঘটনার ব্যাপারে চারজনকে আসামী করে জীবননগর থানায়ে একটি মামলা দিয়েছেন।
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ মাঝপাড়ার কামাল উদ্দিন বলেন,আমিসহ আরো কয়েকজন অনুমান দেড় বছর আগে আমার গ্রামের প্রফেসর জসিম উদ্দিন জালালের ড্রাগন বাগানে আমরা কাজ করতাম। ওই সময় বাগানের ড্রাগন চুরির ঘটনায় হাসাদহ জাফরাবাজপাড়ার হোসেন আলীর ছেলে রিপন হোসেন দোষী সাবাস্ত হয়। আমরা সেই ঘটনায় সাক্ষী দিই। আমি সাক্ষী দেয়ার কারণে রিপন হোসেনদের নিকট অপরাধী।
এই অবস্থায় আমি বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে হাসাদহ পুরাতন কবরস্থান মাঠে জনৈক হাসান আলীর কলা বাগানে কাজ করছিলাম। অপরদিকে হোসেন আলী ও তার তিন ছেলে রিপন হোসেন,স্বপন হোসেন ও হামান হোসেন তাদের পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে জমে থাকা পানি নিস্কাশনের কাজে ব্যস্ত ছিল।
এ সময় আমি তাদেরকে সরল মনে বলি তোমরা যদি আগে ভাগে জমির পানি কেটে দিতে তাহলে এত ক্ষতি হতো না। আমি কেন তাদেরকে এই কথা বলেছি বলে রিপন হোসেন বলে আমাদের ধান নষ্ট হচ্ছে তো তুই বলার কে বলেই আমাকে তারা চারজন মিলে মারপিট শুরু করে দেয়।
এসময় তারা আমাকে বলে বহুদিন পর তোকে বাগে পেয়েছি,তোকে আজ শেষ করে ফেলব। এই কথা বলে রিপন হোসেন আমাকে কোদাল দিয়ে একের পর এক মাথায় মারার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি হাত দিয়ে ঠেকানোর কারণে বাম হাত ভেঙ্গে যায়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতেই থাকে।
এক পর্যায়ে আমি দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পাই। ঘটনার সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে এবং ওত সকালে মাঠে কোন লোকজন ছিল না। ফলে ঘটনার চাক্ষুষ কোন সাক্ষীও নেই। আমি চিকিৎসা শেষে ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দিয়েছি।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার জুম্মাত মন্ডল বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কোনপক্ষ আমার নিকট আসেনি। এলাকায় সম্ভব হলে আপস নিস্পত্তির চেষ্টা করা হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।