জীবননগরে ভুয়া এ্যাপস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মুলহোতা ইদ্রিস  জনতার হাতে আটক অন্যতম সহযোগী চঞ্চল ডাক্তার 

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার -জীবননগর  সিমেন্স এনার্জি অনলাইন বিজনেসের নাম করে  ভুয়া এ্যাপস দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া  প্রতারক চক্রের মুলহোতা ইদ্রিস আলীকে জনতা বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আটক করেন।

প্রতারক চক্রের অন্যতম সহযোগী  চঞ্চল ডাক্তার।

প্রতারক চক্রের মুল হোতা ইদ্রিস আলীকে জীবননগর পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর থেকে আটক করেন প্রতারণার শিকার হওয়া কয়েকজন যুবক।

প্রতারনা চক্রের মুলহোতা ইদ্রিস আলী (৫০) যশোর জেলার নওয়াপাড়া উপজেলার বৌ-বাজার এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর জীবননগর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে একটি ভাড়া বসবাস করেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক সবুজ অভিযোগ করে বলেন,ইদ্রিস আলী আমাকে যখন একটি এ্যাপস দিয়ে বলেন, এখানে যা টাকা রাখা হবে সেই টাকা জমা থাকবে এবং জমাকৃত টাকা থেকে প্রতিদিন একটি কমিশন পাওয়া যাবে।

আমি তার কথা মত ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করি। সে আমাকে তার পরের দিন এক হাজার টাকা ব্যাক দেয়। এভাবে ২-৩ দিন টাকা দেয়ার আর কোন সন্ধান পাওয়া পাওয়া যায় না,আবার কমিশনের টাকাও আর দেয় না।

পরে জানতে পারি এটা একটি প্রতারক চক্র তারা । এই ভাবে এলাকার বেশ কিছু তরুনসহ সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারক চক্রটি প্রতারনা করছে।

একই অভিযোগ করেন হাফিজুর রহমান নামের আরেক যুবক,তিনি বলেন একজন হুজুর মানুষ প্রতারনা করবে,এটা ভাবতে পারিনি। তাকে বিশ্বাস করে আমি এক লক্ষ ২০হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমার সব টাকা মেরে দিয়েছে। অনেক দিন পর তাকে খুঁজে পেলাম। তার কাছে কিছেই চাইনা শুধু আমাদের দেয়া টাকাগুলো ফেরত চাই এবং এই প্রতারণার সাথে জড়িত আছে, তাদের আটক করে বিচার দেখতে চাই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইদ্রিস আলী লেবাস লাগিয়ে জীবননগর বাজারে একটি প্রতারক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ফতুয়া দিয়ে থাকেন। এ ভাবেই তারা সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ইতোমধ্যেই প্রতারক চক্রটি সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের তথ্যানুযায়ী ১২০ জন গ্রাহক রয়েছে।

জনতার হাতে আটক প্রতারক চক্রের হোতা ইদ্রিস আলী বলেন,আমরা যে এ্যাপস দিয়ে কাজ করি,তার সাইটটি গত শুক্রবার থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে।  এখানে ১২০ জন গ্রাহক আছে। তবে এই এ্যাপসের সাথে আমি একা জড়িত নয়।

আমার সাথে লক্ষ্মীপুরের চঞ্চল ডাক্তার ওরফে চয়ন,শাহাবুল মাস্টার,বাবুসহ আরো কয়েকজন জড়িত আছে। প্রতারণা করে আমি টাকা নিয়ে ভুল করেছি। আমি সব টাকা ফেরত দেবো।

অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিক চঞ্চল ডাক্তার বলেন,ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি অ্যাপসটি ইদ্রিস আলীর নিকট থেকে পেয়েছি।

জীবননগর পৌরসভা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল হোসেন খোকন বলেন,লক্ষীপুর গ্রামে একজন প্রতারককে সাধারন জনগন আটক করেছে এটা আমি শুনেছি। প্রতারণার সব বিষয়ে আমার জানা নেই।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস,এম জাবীদ হাসান বলেন,ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *