ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে প্রবাসে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে এলেন জীবননগর বাঁকার যুবক পলাশ

জীবননগর অফিস:-

ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে এনজিও আর আত্মীয় স্বজনদের নিকট টাকা ধার নিয়ে পলাশ হোসেন(৩২) নামের এক যুবক 

পাড়ি জমান মালয়েশিয়া। সেখানে এক বছরের মাথায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল (বাংলাদেশ সময়) ৭ টার সময় হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ মারা যান।
এ সংবাদ পরিবারের নিকট পৌঁছালে স্বজনেরা তা প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলে পরে তারা কান্নাায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় আশপ পাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
সেই থেকে স্বজনেরা পলাশের লাশের অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। অবশেষে তার লাশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বাঁকায় এসে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পলাশ হোসেনন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা বাজারপাড়ার হোমিও চিকিৎসক শাহাব উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সুত্র জানায়,পলাশ হোসেন একজন পল্লী চিকিৎসক হিসাবে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার হুশোরখালী মোড়ে রোগী দেখতেন।
  তিনি সংসারে উন্নতির জন্য স্থানীয় দালালের মাধ্যমে গত এক বছর আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সেখানে তিনি বিগত দিনে ভাল ভাবে কাজের সুযোগ পেলেও সম্প্রতি আগের আর কাজের সুবিধা পাচ্ছিলেন না।
ফলে পরিবারের সকলের চাহিদাও তার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। যে কারণে তিনি মানষিক ভাবে কিছুটা চিন্তা গ্রস্হও ছিলেন।
তিনি এ অবস্থায় শনিবার ফজরের নামাজ শেষে নিজ বেডে শুয়ে থাকার কিছুক্ষণের মাথায় বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং মারা যান।
মালয়েশিয়া অবস্থানরত নাজমুল হক মুঠো ফোনে জানান,নিহত পলাশ আমার ভগ্নিপতি।
জানামতে পলাশের তেেমন কোন দায়দেনা কিংবা টেনশন করার মত কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত মাসে কাজ একটু  কম চিন্তা করতো।

পলাশের ছোট ভাই সজল হোসেন বলেন, আমার ভাই পলাশ গত এক বছর আগে মালয়েশিয়া যান। সেখানে ভাই আমার ভালই ছিলেন।

১৪ সেপ্টেম্বর সকালে আমরা মোবাইল ফোনে জানতে পারি পলাশ ভাই স্ট্রোক করে মারা গেছে। ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। এখন তাদের কি হবে,কি মানুষ করব?

লাশ ফিরে পেতে বিধি মোতাবেক আমাদের নিকট যে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল আমরা সব কিছুই ওইদিন পাঠিয়ে দিই।

অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে  ঢাকা বিমান বন্দর আমাী ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করি। রাত সাড়ে ৯ টায় লাশ বাড়ী পৌঁছায়।

বাঁকা বাজারে রাতেই জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ  দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন,ঘটনাটি দুঃখজনক। পলাশ একটি প্রান্তিক পরিবারের সন্তান। সে এলাকায় একজন ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত ছিল । তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *