জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে সুমন হোসেন(২৬) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত সোমবার সকাল ১০ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে।
অভিযুক্ত কনস্টেবল সুমন হোসেনের বাড়ীতে স্ত্রী থাকা সত্বেও রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ফুঁসলিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলার রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী রমা রানীর(ছদ্মনাম) পিতা বলেন, যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে সুমন হোসেন
পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে চাকুরি করা কালে আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক স্থাপন করে। সুমন হোসেনর বাড়ীতে স্ত্রী রয়েছে।
তারপরও আমার মেয়ের কাছে বলে তার বিয়ে হয়নি। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। ঘটনার ১০-১২ দিন আগে তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে বদলি করে। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়।
কয়েক দিন আগে তার র্যাব এ বদলি করা হয়। কিন্তু সে র্যাবে যোগদান না করে আমার মেয়েকে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে রাস্তা থেকে ফুঁসলিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর আমরা গোপনে বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টা করি।
কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়ীতেও তাকে কোন হদিস পাওয়া যায় না। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার ৫ দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।
রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাটি নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সাথে হওয়ায় পারিবারিক ভাবে গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুল ছাত্রী রমা রানীর কোন খোঁজ সন্ধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। কনস্টেবল সুমনের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন খানের ঘটনার ব্যাপারে তার মন্তব্য জানার জন্য মোবাইল ফোন নং-০১৮৮৯-৬৫৭১২৩ এ বার বার যোগাযোগ করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার মন্তব্য জানা সম্ভ হয়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন সন্ধান পায়নি।
শেষ পর্যন্ত ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাতে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।