জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার করচাডাঙ্গা লাইনপাড়ায় এক ঘরে সন্তানদের এবং অন্য ঘরে স্ত্রীকে আটকিয়ে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী,শ্বশুর ও দেবরদের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধুকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনাটি বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধু নিলুফা খাতুন(৩৫) বলেন,উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করচাডাঙ্গা লাইনপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে আমিন উদ্দিনের সাথে আমার ২২ বছর আগে বিয়ে হয়। তিল তিল করে সংসার গড়ে তুলি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে হৃদয় হোসেন(২০) ও আরজু খাতুন(১৪) নামের দু’টি ছেলে মেয়ে রয়েছে।
এ অবস্থায় গত দেড় মাস আগে আমার স্বামী আমিন উদ্দিন আন্দুলবাড়ীয়ার শেফালী খাতুন(৩৫) নামের এক মহিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। আমার দাম্পত্য জীবন এতদিন সুখেই চলছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সংসারে আগুন লেগে যায়। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে আমাদের সংসারে তার কোন খেয়াল নেই।আর আমি কিছু বললেই আমার ওপর নেমে আসে অত্যাচার নির্যাতন।
আমি তাকে প্রতিবাদ করলে আমার শ্বশুর হামিদ ফকির,দেবর জামির ও শরিফুল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়।
একই ভাবে বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমার স্বামী আমিন উদ্দিনের দ্বিতীয় বিয়ে আমাদের প্রতি তার কোন খেয়াল না থাকার ব্যাপারে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার স্বামী আমিন,শ্বশুর হামিদ ফকির,দেবর জামির ও শরিফুল আমাকে একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে আমাকে কাঠের বাটাম,বাঁশের লাঠি ও কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
এই সময় আমার ছেলে-মেয়ে আর্তচিৎকার করলে তাদেরকে অপর একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। আমি তাদের অত্যাচারে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা আমাকে ঘরের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা শিকল তুলে দিয়ে ঘরের ভিতরে ফেলে রাখে।
পরে আমার বাবা-মার বাড়ী থেকে লোকজন গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ওই রাতেই ভর্তি করেন।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার হাবিল উদ্দিন বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে বর্তমানে কি অবস্থা তা আমি জানি না। আবার আমার কাছে কোনপক্ষই আসিনি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।