জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি জেলা বিএনপির আহবায়ক বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহমুদ হাসান বাবু খান জীবননগর –দামুড়হুদা এলাকার মানুষের মুখে মুখে প্রশংসায় ভাসছেন।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে বিএনপির কিছু নেতাকর্মি-সমর্থকদের বিরুদ্ধে লুটপাট, ভাংচুর ও সাধারণ মানুষকে হুমকি ধামকী দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মিদের মতবিনিময় সভায় মাহমুদ হাসান বাবু খান নিজ দলীয় নেতাকর্মিদের কড়া হুশিয়ারী দিয়ে সতর্ক করে দেয়ায় ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপুঁজায় দলীয়
নেতাকর্মিদেরকে স্বেচ্ছাসেবকের ভুমিকা পালনের নির্দেশ ও প্রতিটি পুঁজামন্দিরে নগদ আর্থিক অনুদান প্রদানের ঘটনায় তিনি দারুন ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। বাবু খানকে নিয়ে দামুড়হুদা-জীবননগর উপজেলাবাসীর মুখে নানা প্রশংসার কথা শোনা যাচ্ছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে পালানোর ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যে দেশের পটপরিবর্তন হয়।
ওইদিন সারাদেশের মত জীবননগর উপজেলাও ভাংচুর,লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক বাবু খান নেতাকর্মিদেরকে সংযত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি সরাসরি নেতাকর্মিদেরকে সব ধরণের ধ্বংস যজ্ঞ থেকে সতর্ক করেন। এমনকি মাইকিং পর্যন্তকরেন। কিন্তু সে সময় অনেকেই তার সে নির্দেশনা অমান্য করে কথিত নেতাকর্মিরা বিশৃঙ্খলায় মেতে ওঠে। এ ঘটনায় দল থেকে শাস্তিমুলক ব্যবস্থাও গ্রহন করেন।
অন্যদিকে দলীয় নেতাদেরকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে সকলকে শান্ত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি সে সময়ও দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের নিকট প্রশংসিত হয়েছিলেন।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর জেলা বিএনপির আহবায়ক বিশিষ্ট সমাজ সেবক বাবু খান জেলা বিএনপির কর্মসুচি শেষে তিনি জীবননগর পৌর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নেতাকর্মিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি লুটপাট,দুর্ণীতি-অনিয়মের সাথে জড়িত নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্যে বলেন,কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের নামের তালিকা অছে। সাবধান হয়ে যান। মানুষকে ভালবাসেন দলের জন্য কাজ করেন। দিনের ভোট আর রাতে হওয়ার সুযোগ নেই। ভোট হবে ভোটের মত করে। লুটপাট করে মানুষের মন জয় করা যাবে না। বিএনপির নেতাকর্মিদেরকে মানবিক হতে হবে।\
নেতার এমন বক্তব্য উপস্থিত নেতাকর্মিরা মুহুর্তের মধ্যে চায়ের কাপে ছড় তোলে। আর সাধারণ মানুষ তা গ্রহন করে
বিএনপি নেতা বাবু খানের প্রশংসায় তারাও মুখরিত হন। সবার মুখে একই কথা বাবু খান একজন ভাল মানুষ,সৎ মানুষ।
তিনি এমপি হলে এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন,এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে।দলাদলি ও হানাহানি থাকবে না।
উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক দোজাউদ্দিন বলেন,বাবু খান একজন সৎ,যোগ্য,দয়ালু ও স্বচ্ছ মনের মানুষ। তিনি মানুষের কল্যানে নিবেদিত একপ্রাণ। দলবাজী,লুটপাট,বিশৃঙ্খলা এসব তিনি কোন ভাবেই সহ্য করবেন না।
এদিকে তিনি সম্প্রতি জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন পুঁজা মন্দিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে দলীয় নেতাকর্মিদেরকে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ও প্রতিটি পুঁজা মন্দিরে নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করায় সনাতন ধর্মালম্বীদের নিকট দারুন ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের মুখেই বলতে শোনা গেছে এতদিন যাদেরকে আমরা নিজেদের মানুষ ভেবে ভোট দিয়ে এসেছি। তারা সরকারী অনুদান দিতে গিয়ে নানা ভাবে টালবাহানা করতো।
সেখানে বাবু খান নিজের পকেট থেকেই ভাল অনুদান দিয়েছেন। এবার তারা বাবু খানকে একবার ভোট দিয়ে এমপি বানিয়ে পরিক্ষা করতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন,আমাদের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের কিছু নেতাকর্মিই দায়ী।
আজকে যে,অবস্থা সেখানে বাবু খানের জায়গায় আমাদের নেতারা হলে আরো উস্কে দিতো। সেখানে বাবু খান যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি প্রশংসারই দাবীদার। তবে বিএনপির কিছু মানুষের জন্য তার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।
এদিকে বিএনপির নেতাকর্মিরা বাবু খানের আহবানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকেই নিজেদেরকে সংযত করে চলাচল করতে শুরু করেছেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক বিশিষ্ট সমাজসেবক মাহমুদ হাসান বাবু খানের ব্যাপারে শান্তিপ্রিয় নাগরিক সমাজের দাবী তিনি রাজনীতিতে অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের মানুষ। সাধারন মানুষের তার ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতাও রয়েছে। তিনি আর একটু কঠোর হলেই দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করছে তারা থমকে যাবে। এতে ইমেজ আরো বৃদ্ধি পাবে।