জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরে রাতের আধারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৃবৃত্তদের রহস্যজনক আগুনে, ভুট্রার বীজ পুড়ে নষ্ট হওয়া ও বীজ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে উঠেছে আওয়ামীলীগসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
কিন্তু এ আগুনের ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রহস্যজনক এ আগুনের ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরকেও আসামী করার ঘটনায় সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি সোমবার দিনগত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে জীবননগর পৌর শহরের শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মা ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে ।
এ ঘটনায় যুবদল নেতা সুমন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় পাঁচজন সাংবাদিকসহ ৬৩ জনের নামে এজাহার দায়ের করেছেন।
জীবননগর উপজেলার পৌর শহরের বাঁকা আশতলাপাড়ার মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে যুবদল নেতা সুমন হোসেন অভিযোগ করে বলেন,লাল্টু নামের একজন ফোন দিয়ে আমাকে বলে
আমার প্রতিষ্ঠানে কে বা কারা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমার ওই ঘরে ৭ বস্তা ভুট্টার বীজ ছিল সেগুলো তারা নিয়ে গেছে। যার বর্তমান বাজার মুল্য দুই লক্ষ ৮০হাজার টাকা। পরে তার প্রতিষ্ঠানে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে
দিয়ে চলে যায়।
এদিকে সুমন হোসেন বাদী হয়ে যে পাঁচজন সাংবাদিকদের নামে অভিযোগ তুলেছেন তাদের মধ্যে সাংবাদিক এসকে লিটন,সাংবাদিক মিথুন মাহমুদ ও এইচএম হাকিম ঘটনার সময় ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন।
অন্য দু’জনের মধ্যে মুকুল ও জামাল হোসেন খোকন তাদের নিজ বাড়ীতেই ছিলেন।
তাহলে সাংবাদিকরা কি ভাবে তার গোডাউনে আগুন দিল সেই প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। সাংবাদিকদের জোর দাবী ঘটনাস্থল ও তার পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলেই সমস্ত কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।
এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মহল চরম ক্ষোপ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সাংবাদিক সমাজের দাবী যদি কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
করা হয় তা হলে সেটা যেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। অন্যদিকে কেউ যদি কোন সাংবাদিককে প্রতিহিংসা মুলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়,তার বিরুদ্ধেও যেন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার ঘটনায় সুমন নামের একজন বাদী হয়ে একটা এজাহার দিয়েছে।
সেখানে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম আছে।
তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেই কেবল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না।