জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামের খাস জমিতে থাকা একটি পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে ৩ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। আহতদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাকা গ্রামের সরকারী খাস জমিতে থাকা একটি পুকুর নিয়ে সব সময় এলাকার ক্ষমতাসিনদের মধ্যে দখল নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে পুকুরটি আওয়ামীলীগ সমর্থিত নেতাকর্মিরা ভোগ দখল করে আসছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরই আওয়ামীলীগ সমর্থকেরা পুকুরটি ছেড়ে দিলে পরিত্যক্ত হয়।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন বলেন,পাকা মজাপুকুর হিসাবে পরিচিত জলাশয়টি ১০-১২ বিঘা জমির ওপর। পুকুরটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনা করে আসার এক পর্যায়ে আদালত সরকারপক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে আওয়ামীলীগ সমর্থক সুজায়েতপুর গ্রামের মহিউদ্দিন,সামাদ,ইরাউল,রেজাউল,আসাদ,ওয়াদুদ,জহিরুল,মহাসিনরা পুকুরটি দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল।
গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পরই তারা পুকুরটি ছেড়ে দিলে তা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আমরা গ্রামের লোকজন পাকা হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের সাহার্থে পুকুরে মাছ শুরু করি। কিন্তু হঠাৎ করেই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মহিউদ্দিনসহ সকলেই পুকুরের গাবীতে থাকা ফলন্ত ১৫০ টি কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দেয় এবং পুকুরটি তাদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় আমরা পাকা গ্রামের লোকজন তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার গ্রামের আমিনুর বিশ্বাস,আরশাদ আলী,আব্দুস সামাদ মারাত্মক ভাবে আহত হয়। এছাড়াও আরো অনেকে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে কিনা তা জানি না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।