জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর৷ উপজেলার বিএনপির৷ নেতার্মিদের মারপিট করে জখম ও চাঁদা দাবী ও মোটর সাইকেল ভাংচুরেরমা মলার ঘটনায় সীমান্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্যাকে(৫০) পুলিশ রোববার দুপুরের দিকে গ্রেফতার করেন।মিল্টন মোল্যা সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ মামলার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরসহ
আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১২২ জন নেতাকর্মিকে আসামি করা হয়েছে। মিল্টন মোল্যা মামলা রুজুর পর থেকে পলাতক ছিলেন।
জীবননগর পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনারের দায়ের করা এজাহারে অভিযোগ করেন,গত ১৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় জীবননগর বাসস্ট্যান্ড
চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরসহ অন্যান্য আসামিরা হাতে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গণশান্তি বিরোধী মিছিল নিয়ে সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্থ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
এ সময় যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনার প্রতিবাদ করলে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী অন্যান্য আসামিরা আনারের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় আনারের সাথে থাকা তুষার নামের এক যুবদল
নেতাকে তারা বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
অন্যদিকে আনারের ব্যবহৃত এপাসি মোটর সাইকেলটিও তারা ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে মিল্টন মোল্যার পরিবারের দাবী তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে তার প্রমানের বিষয়টি কেউ প্রমান করতে পারবে না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামী অন্যতম আসামি মিল্টন মোল্যা এতদিন পলাতক ছিলেন।
তিনি মাঝে মধ্যে বাড়ীতে আসলেও দীর্ঘক্ষন বাড়ীতে না থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
রোববার তাকে মহেশপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় দত্তনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।