জীবননগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে রসুন

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সবচেয়ে বড় পাইকারি  বাজার জীবননগর পৌর দৌলৎগঞ্জ কাঁচা বাজার।  এ বাজার থেকে গত কয়েক দিন   ধরে শত শত মণ রসুন  উপজেলার  বিভিন্ন  সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধ ভাবে  ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।  বাজার থেকে রসুন পাচার হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে রসুনের।

দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে জীবননগর বাজারের বিভিন্ন পাইকারী আড়ত থেকে রসুন ভারতে পাচার হলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন।

এলাকার কিছু  ব্যবসায়ী নাম  প্রকাশ না  করার  শর্তে জানান, সম্প্রতি  ভারতে রসুন  পাচারের ঘটনা  বেড়ে গেছে।  জীবননগর বাজারের কাঁচা মালের পাইকারি আড়ৎ থেকে রসুন কিনে নিয়ে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।পরে তারা সে সব রসুনই আবার চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ভারতে পাচার করে দিচ্ছেন।

বিশেষ করে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে রসুন পাচার হয়। তবে সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের সীমান্ত রুট দিয়ে বেশী রসুন পাচার হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা আরো বলেন,ভারতে রসুন পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশ রসুনের দাম বেড়েই চলছে। জীবননগর বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি রসুনের দাম ২৪০ টাকা করে হাঁকা হচ্ছে।

অন্যদিকে ভারতে খোলা বাজারে প্রতি কেজি রসুন বর্তমানে ৩৮০-৪২ রুপি করে বিক্রি হচ্ছে। লাভের পরিমান বেশী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে দিন দিন রসুন পাচারের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে জীবননগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে ইজিবাইক ও পাখি ভ্যান যোগে বস্তা বস্তা রসুন নতুনপাড়া মোড়ে নেয়া হচ্ছে । এসব রসুন সন্ধ্যার পর ভারতে পাচার করা হবে বলে এলাকার সাধারন মানুষ জানিয়েছেন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে,ভারত সীমান্ত তারকাটার বেড়ার নতুন সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এবং পুরাতন তারকাটার সমস্ত বেড়া অপসারন করে নেয়ার সুযোগে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী সুত্র জানায়,নতুনপাড়ার জুলু,হাফিজুলসহ এলাকার বেশ কয়েকজন ভারতে রসুন পাচারের সাথে জড়িত। অবাধে রসুন পাচারের কারণে রসুনের মুল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বলেন,রসুন পাচারের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে রসুন চোরাচালানিদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন চোরাকারবারীকে ছাড় দেয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *