জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী সাহেব বাজারের সামনে নিজ জমিতে স্থাপনা নির্মানে বাঁধা প্রদান ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিরোধপুর্ণ জমি সরকারী দাবী করে সেখানে স্থাপনা নির্মানে এলাকার কিছু মানুষ বাঁধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমির বৈধ মালিক পড়েছেন বিপাকে।
সরজমিনে দেখা যায় যে,জীবননগর উপজেলা মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের রবির জামাতা ইকবাল হোসেন ধোপাখালী সাহেব বাজারের সামনে
রাস্তা সংলগ্ন স্থানে তার নিজ জমিতে অস্থায়ী একটি ইমারত নির্মান করছেন।
ইতিপুর্বে তার নিকটতম প্রতিবেশী ঘনু মিয়া একই জমিতে যে ভাবে ঘর নির্মান করেছেন একই ভাবে ইকবাল হোসেনও একই ভাবে বাড়ীর সামনে ছোট পরিসরে ইমারত নির্মান করছেন।
ইকবাল হোসেন বলেন,সম্প্রতি আমাদের বৈধ জমির সামনে ফাঁকা জমিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে আধা-পাকা ইমারত নির্মান শুরু করি।
কিন্তু এলাকার কিছু অতি উৎসাহী লোক তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে আমার জমি সরকারী জমি এবং আমার
নির্মানাধীন ইমারতের কারণে
নাকি বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের অসুবিধা হবে এমন অভিযোগ তুলে ইমারত নির্মানে বাঁধা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছেন।
পুলিশ পাঠিয়ে অহেতুক আমাকে নির্মান কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে। আমার নির্মানাধীন ইমারত যদি সরকারী রাস্তার জমি হয় তাহলে আমার আগে যারা
একই জমিতে বসতি স্থাপনা নির্মান করেছেন কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছেন তাদেরকে বাঁধা দেয়া হয়নি কেন কিংবা তাদের বেলায় কোন সমস্যা নেই
আমার বেলায় হবে কেন? যে কেউ দেখলে বলতে বাধ্য হবেন যে,আমার নির্মানাধীন ইমারত রাস্তা দখল করে নয় কিংবা বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও কোন সমস্যা হবে না।
ইমারত নির্মানকে ঘিরে আমার বিরুদ্ধে তারা নানা ভাবে
অপপ্রচারও করছেন।
আমাদের বসতভিটার জমিটি পুর্বের ধোপাখালী বিজিবি ক্যাম্পের জায়গায় অবস্থিত। বিজিবি আমাদেরকে যে ভাবে জমি বুঝে দিয়ে গেছেন,আমরা সেই ভাবেই দখল বুঝে নিয়ে বসতি স্থাপনা নির্মান করেছি।
অন্যদিকে তিনি রাস্তার জমিও দখল করেনি। বরং তিনি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশী জমি ছেড়ে দিয়ে রাস্তার পাশে ইমারত নির্মান করছেন।
একটি স্বার্থন্বেষী মহল নির্মান কাজে বাঁধা দিয়ে ইকবাল হোসেনকে হয়রানি করছেন।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জাহিদুল আলম টিপু বলেন, ইকবাল হোসেনের প্রতিবেশীরা আগে যে ভাবে ইমারত নির্মান করেছেন।
ইকবাল হোসেনও ঠিক একই ভাবে ঘর উঠাচ্ছেন।
এখন যদি তাকে বাঁধা দিতে হয় তাহলে তো আগের বসতিদেরও একই ভাবে জমি ছেড়ে দিতে হবে।
ইকবাল হোসেনের ইমারতের কারণে প্রতিবেশীদের কারো যাতায়াতে অসুবিধা হবে না এবং বাজারে আগত ক্রেতা বিক্রেতাদেরও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তারপরও আমরা বিষয়টি শান্তিপুর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। বাকীটা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।