জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরে পুরাতন লক্ষ্মীপুরে এক নব মুসলিম নারী তার সতিন সন্তানদের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ ওই নারীর বসবাসকৃত খাস জমি বেদখল করতে মরিয়া সতিনের ছেলে-মেয়েরা।
দফায় দফায় অত্যাচারে অতিষ্ঠ নব মুসলিম নারী বিচারের আশায় এখন সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন। অবশেষে ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জীবননগর পৌর শহরের পুরাতন লক্ষ্মীপুরের মকবুল খা’র স্ত্রী হাজেরা খাতুন বলেন,আমি গত ২৫-৩০ বছর আগে হিন্দু ধর্মত্যাগ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। আমার স্বামী মকবুল খা বর্তমানে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ।
আমি সরকারী জমি ডিসিআরের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে সেখানে কোন ভাবে বাড়ী ঘর করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমার সতিনের ছেলে রবিউল ইসলাম,আব্দুর রাজ্জাক ও লাকী খাতুন পাংখি সেই জমি বেদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা গ্রামের সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তও মানছে না।
এরমধ্যে তারা আমার জমি তাদের দখলে প্রমান করতে সম্প্রতি রাতারাতি আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে সেখানে একটি ছাপড়া ঘর নির্মান করেছে। এখন তারা আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করছে।
সমাজের নেতাদের কাছেও গিয়েছি। তাদের কথাও আমার সতিনের ছেলে মেয়েরা মানছে না। এখন আমি কোথায় যাবো। আমার স্বামীর অবস্থাও খারাপ আমার তো আর আশ্রয়ের কোন জায়গা নেই।
জীবননগর পৌর বিএনপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন,হাজেরা খাতুন একজন নব মুসলিম নারী। মানবিক কারণে তাকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই।
তার বসত ভিটাটুকুও সরকারী খাস জমি। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে সম্প্রতি সালিস বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু হাজেরা সতিনের ছেলে মেয়েরা আমাদেরকে অমান্য করার কারণে শান্তিপুর্ণ সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এখন থানা পুলিশ যা করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।